যথাযথ মর্যাদায় বাংলাদেশে উদযাপিত হচ্ছে দেশটির ৫২তম বিজয় দিবস। শুক্রবার (১৬ ডিসেম্বর) ৫২তম বিজয় দিবস উপলক্ষে দেশব্যাপী ব্যাপক কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। ১৯৭১ সালে ২৬ মার্চ শুরু হওয়া ৯ মাসের স্বাধীণতা যুদ্ধ শেষ হয় ঐ বছরের ১৬ ডিসেম্বর বিজয় অর্জনের মধ্য দিয়ে। ঐ যুদ্ধে ত্রিশ লাখ মানুষ শহীদ হন, আর প্রায় দুই লাখ নারী তাদের সম্ভ্রম হারান। এই ত্যাগের বিনিময়ে জন্মগ্রহণ করে বাংলাদেশ।
বিজয় দিবসে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সকালে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে একাত্তরের স্বাধীণতা যুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। সকাল সাড়ে ৬টার দিকে রাষ্ট্রপতি জাতীয় স্মৃতিসৌধের বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এর পর, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
পুষ্পস্তবক অর্পণের পর তারা মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। এসময়, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী এবং বিমান বাহিনীর একটি চৌকস দল রাষ্ট্রীয় সালাম জানায়।
এর পর, আ্ওয়ামী লীগের সভানেত্রী হিসেবে শেখ হাসিনা দলের সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে নিয়ে জাতীয় স্মৃতিসৌধে আরেকটি পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। পরে প্রধানমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে শেখ হাসিনা সকালে রাজধানী ঢাকার ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পৃথক দু’টি পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান।
মুক্তিযুদ্ধের সময় শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান, মুক্তিযোদ্ধা, তাদের পরিবারের সদস্য, বিদেশি কূটনীতিক, আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এবং সর্বস্তরের মানুষ। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে দেশের জন্য জীবন উৎসর্গকারী শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাতে আয়োজন করা কয়েছে নানা কর্মসূচি। দিবসটি পালনে সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক-রাজনৈতিক, শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান ও সংগঠন নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে।
একত্রিশ বার তোপধ্বনির মধ্য দিয়ে দিনের কর্মসূচি শুরু হয়। “মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ক্ষমতায়ন এবং জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে ডিজিটাল প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহার”; এই প্রতিপাদ্য নিয়ে জাতীয় পর্যায়ে আলোচনা সভার আয়োজন রয়েছে কর্মসূচি মধ্যে।
এ ছাড়া রয়েছে বিভিন্ন মহানগর, জেলা ও উপজেলায় বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান। বাংলাদেশের সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি অফিসে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।