আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) নির্বাহী বোর্ড আগামী ৩০ জানুয়ারি বাংলাদেশের জন্য ৪৫০ কোটি ডলার ঋণ অনুমোদনের বিষয়টি বিবেচনা করবে বলে আশা করা হচ্ছে। সোমবার (১৬ জানুয়ারি) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আইএমএফের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর আন্তোয়েনেট এম. সায়েহ এ কথা জানিয়েছেন। আন্তোয়েনেট এম. সায়েহ ঋণ নিয়ে আলোচনা করতে পাঁচদিনের সফরে রবিবার (১৫ জানুয়ারি) বাংলাদেশে এসেছেন।
আইএমএফের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর বলেন, “প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং অর্থমন্ত্রী মোস্তফা কামাল ও বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদারের সঙ্গে দেখা করার সুযোগ পেয়ে আমি খুবই আনন্দিত। আন্তোয়েনেট বলেন, “গত দশকে বাংলাদেশের আকর্ষণীয় অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং সামাজিক উন্নয়নের জন্য আমি তাদের অভিনন্দন জানাই। যা দারিদ্র্য নিরসনে ধারাবাহিক অগ্রগতি এবং জীবনমানে উল্লেখযোগ্য উন্নতি করেছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সামষ্টিক অর্থনীতির নীতিগুলো মুদ্রাস্ফীতিকে স্থিতিশীল রাখতে, ঋণ থেকে জিডিপি অনুপাত হ্রাস এবং অন্যান্য সূচককে পর্যাপ্ত রাখতে সাহায্য করেছে।”
সারা বিশ্বের অন্য দেশগুলোর মতোই বাংলাদেশ এখন বৈশ্বিক ধাক্কাগুলোর প্রভাব মোকাবেলা করছে বলে উল্লেখ করেন তিনি। বলেন, “আমরা বাংলাদেশের অর্থনীতিতে এই ধাক্কাগুলোর প্রভাব নিয়ে আলোচনা করেছি এবং আমি এই কঠিন সময়ে দুর্বলদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার ওপর তাদের ফোকাসসহ সংশ্লিষ্ট সংকট মোকাবেলায় বাংলাদেশের নেওয়া বিস্তৃত পদক্ষেপকে স্বাগত জানাই।”
কর্তৃপক্ষের স্বদেশি সংস্কার এজেন্ডাকে সমর্থন করার জন্য বাংলাদেশ ও আইএমএফ সম্প্রতি বর্ধিত ক্রেডিট সুবিধা, বর্ধিত তহবিল সুবিধা এবং আইএমএফ এর নতুন স্থিতিস্থাপকতা ও টেকসই সুবিধা (আরএসএফ) এর অধীনে একটি স্টাফ-লেভেল চুক্তিতে পৌঁছেছে।
আন্তোয়েনেট এম. সায়েহ বিবৃতিতে বলেন, “আলোচনায়, আমরা কর রাজস্ব বাড়ানো এবং আরও দক্ষ আর্থিক খাত গড়ে তোলার দীর্ঘস্থায়ী চ্যালেঞ্জসহ এই প্রোগ্রামের মূল উপাদান গুলোর ওপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করেছি। বেসরকারি বিনিয়োগ এবং রপ্তানি বহুমুখীকরণের সুবিধার্থে নেওয়া পদক্ষেপের সঙ্গে, এইসব ক্ষেত্রে সংস্কার বাংলাদেশের অর্থনীতিকে আরও স্থিতিস্থাপক করতে এবং দীর্ঘমেয়াদী, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও টেকসই প্রবৃদ্ধিকে সহায়তা করার শর্ত তৈরি করতে সাহায্য করবে।”
বিবিৃতিতে তিনি বলেন, “আমরা জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কিত দীর্ঘমেয়াদী চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বাংলাদেশের পরিকল্পনা নিয়েও আলোচনা করেছি; এ সব চ্যালেঞ্জ সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি হতে পারে।”