জলবায়ু ঝুঁকি মোকাবেলায় ব্রিটেনের সহযোগিতা চায় বাংলাদেশ। এ কথা জানিয়েছেন বাংলাদেশের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন। সোমবার (২৯ মে) বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক এর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল বাংলাদেশ সচিবালয়ে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে। এ সময় জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন সহযোগিতার কথা বলেন।
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, “বাংলাদেশ সীমিত সম্পদ দিয়ে জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব মোকাবেলায় যথাসাধ্য চেষ্টা করছে।” তিনি বলেন, “জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা (ন্যাপ) অনুযায়ী, ১১৩টি কার্যক্রম বাস্তবায়নের জন্য, বাংলাদেশের বিপুল পরিমাণ অর্থের প্রয়োজন। আন্তর্জাতিক ও দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা ছাড়া জলবায়ু সহিষ্ণুতা বাস্তবায়ন এবং অর্জন করা বাংলাদেশের পক্ষে কঠিন। তাই আমরা যুক্তরাজ্যের মতো উন্নত দেশ থেকে সহযোগিতা ও সমর্থন প্রত্যাশা করছি।”
পরিবেশমন্ত্রী শাহাব উদ্দিন বলেন, “মোট বৈশ্বিক গ্রিনহাউস গ্যাসের শূন্য দশমিক ৪৮ শতাংশ বা তার কম নিঃসরণ করে বাংলাদেশ; তারপরও বিশ্বের ৭ম ঝুঁকিপূর্ণ দেশ।” বাংলাদেশে জলবায়ু পরিবর্তন কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য যুক্তরাজ্য সরকারের প্রশংসা করে পরিবেশমন্ত্রী।
তিনি বলেন, “গ্লোবাল গোল অন এডাপটেশন, মিটিগেশন ওয়ার্ক প্রোগ্রাম এবং লস অ্যান্ড ড্যামেজ এর জন্য তহবিল ব্যবস্থার বৈশ্বিক লক্ষ্য নিয়ে বাংলাদেশ ব্রিটেনের সঙ্গে কাজ করতে ইচ্ছুক।”
ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক বলেন, “জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় গৃহীত কর্মকাণ্ডে বাংলাদেশ ও ব্রিটেনের অনেক সাদৃশ্য রয়েছে।” বাংলাদেশের এনডিসি এবং ন্যাপ এর প্রশংসা করেন হাইকমিশনার। বলেন, “সদ্য প্রণীত মুজিব ক্লাইমেট প্রসপারিটি প্ল্যান বাস্তবায়ন হলে বাংলাদেশ বিশ্বে জলবায়ু কর্মকাণ্ডে রোল মডেল হিসেবে বিবেচিত হবে।” বাংলাদেশের ইকোসিস্টেম বেইজড এডাপটেশন-এর প্রশংসা করেন তিনি।
হাইকমিশনার সারাহ কুক বলেন, “জলবায়ু কর্মকাণ্ডে ব্রিটেনের চলমান সহযোগিতা ক্রমবর্ধমান গতিতে অব্যাহত থাকবে।”