হলি আর্টিজানে জঙ্গি হামলায় নিহত সাত জাপানি পরামর্শকের স্মরণে সোমবার (৩ জুলাই) উত্তরার মেট্রোরেল প্রদর্শনী ও তথ্য কেন্দ্রে (এমইআইসি) অনুষ্ঠানের আয়োজন করে জাইকা জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা)।
সংস্থাটি বলেছে যে তারা এই প্রকল্প পর্যবেক্ষণ অব্যাহত রাখবে; যাতে বাংলাদেশের ত্বরান্বিত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং সামাজিক পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে সাত জাপানি নাগরিকের উত্তরাধিকার বেঁচে থাকে। নিহত সাত জাপানি নাগরিক ঢাকা ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট বাস্তবায়নে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছেন।
জাইকার এক্সিকিউটিভ সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ড. ইয়ামাদা জুনিচি বলেন, “এই মর্মান্তিক ঘটনার সাত বছর পেরিয়ে গেছে; বাংলাদেশি পুলিশ কর্মকর্তা ও নাগরিকসহ অনেক মূল্যবান প্রাণ হারিয়েছে এ ঘটনায়। তিনি বলেন, “আন্তর্জাতিক সহযোগিতামূলক ক্ষেত্রের সঙ্গে সম্পৃক্ত একজন পেশাদার হিসেবে, বাংলাদেশের উন্নয়নে যারা সময় ও অক্লান্ত শ্রম দিয়ে নিবেদিতভাবে কাজ করেছেন তাদের মৃত্যুতে আমি গভীরভাবে শোকাহত।”
জুনিচি আরো বলেন. “তাদের অবদান চির স্মরণীয়। আমরা কখনো তাদের অবদান ভুলবো না। গত বছর, আমরা মেট্রোরেল এক্সিবিশন অ্যান্ড ইনফরমেশন সেন্টারে একটি স্মৃতিস্তম্ভ স্থাপন করেছি। এ স্মৃতিস্তম্ভটি তারই প্রতীক।”
তিনি জানান, “প্রকল্প কাজে নিয়োজিতদের নিরাপত্তা নিশ্চি করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করছে জাইকা। নিহত সাত জাপানি নাগরিকের স্মৃতি ও অবদান যেনো বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং সামাজিক পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে বেঁচে থাকে, এজন্য ধারাবাহিকভাবে জাইকা এ প্রকল্প পর্যবেক্ষণ করবে।”