বাংলাদেশে শরণার্থী হিসেবে বসবাসরত মিয়ানমারের মুসলিম রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের সদস্যরা তাদের অনেককে প্রত্যাবাসনের প্রচেষ্টার আবার বিরোধিতা করছেন। তারা বলেন, মিয়ানমার সরকার নাগরিকত্বের অধিকার সম্পর্কে তাদের দাবি পূরণ করেনি এবং মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে ফিরে যাওয়া তাদের জন্য নিরাপদ নয়।
আগামী সপ্তাহে তাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনের পরিকল্পনার পরিপ্রেক্ষিতে এই উদ্বেগগুলো সামনে আসে।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সফররত প্রতিনিধিদের সাথে নাইপিদোতে সাম্প্রতিক বৈঠকের পর মিয়ানমারের আন্তর্জাতিক সহযোগিতা মন্ত্রী কো কো হ্লাইং রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন গণমাধ্যমকে বলেন, ডিসেম্বরের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে ৭ হাজার রোহিঙ্গাকে মিয়ানমারে পাঠানো হবে।
বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলের সদস্যরা পরে বাংলাদেশের স্থানীয় গণমাধ্যমকে জানান, প্রথম ধাপে ৩ হাজার রোহিঙ্গাকে প্রত্যাবাসনের প্রক্রিয়া শুরু হবে।
মিয়ানমারের আলোচনায় বাংলাদেশের কর্মকর্তারা বলেছেন, অনেক রোহিঙ্গা অতীতে তাদের নাগরিকত্বের অধিকার পুনরুদ্ধারের আশ্বাস না পাওয়ায় দেশে ফিরে যেতে অস্বীকার করেছিল। ১৯৮২ সালে মিয়ানমারের সামরিক কর্তৃপক্ষ রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নিয়ে একটি বিতর্কিত আইন প্রবর্তন করে।
বাংলাদেশের কক্সবাজারের একটি ক্যাম্পে বসবাসরত রোহিঙ্গা মোহাম্মদ ফয়েস (৩৮) বলেন, ২০১৮ সাল থেকে শরণার্থী সম্প্রদায় তাদের অধিকার পুনরুদ্ধার এবং অন্যান্য নিশ্চয়তা পূরণ সাপেক্ষে মিয়ানমারে ফিরে যাওয়ার শর্ত দিয়েছে।
ফয়েস, ভয়েস অফ আমেরিকাকে বলেছেন,“কিন্তু বর্মী কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে এখনো কোনো আশ্বাস পাওয়া যায়নি যে আমরা ফিরে যাওয়ার পর আমাদের নাগরিকত্বের অধিকার ফিরে পাবো। এমন পরিস্থিতিতে আমরা মিয়ানমারে ফিরে যাওয়াতে নিরাপদ বোধ করি না।”