মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সদা-জাগ্রত থাকার জন্য জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রাজধানী ঢাকায়, বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরে স্বাধীনতা পুরস্কারপ্রাপ্ত শিল্পী শাহাবুদ্দিন আহমেদের নির্বাচিত চিত্রকর্ম-এর বিশেষ শিল্প প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ আহবান জানান তিনি। বলেন, “শিল্পকর্ম মানুষের মধ্যে দেশপ্রেম ও চেতনা জাগ্রত করতে পারে।”
শেখ হাসিনা বলেন, “মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। জনগণকে চেতনায় জাগ্রত করতে হবে এবং মুক্তিযুদ্ধের আদর্শে দেশকে গড়ে তুলতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের বিজয়ের মধ্য দিয়ে অর্জিত চেতনাকে যাতে ভবিষ্যতে কেউ বিকৃত করতে না পারে, সেজন্য সবাই সজাগ থাকুন।”
জাতীয় জাদুঘরের নলিনীকান্ত ভট্টশালী গ্যালারিতে মাসব্যাপী চলবে একক শিল্প প্রদর্শনী। এতে শাহাবুদ্দিনের ১৪০টি নির্বাচিত শিল্পকর্ম প্রদর্শিত হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, “চিত্রকর্ম মানুষের হৃদয় স্পর্শ করে। শিল্পকর্ম মানুষের মধ্যে দেশপ্রেম ও চেতনা জাগ্রত করতে পারে।”
শেখ হাসিনা বলেন, “১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পর, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, আদর্শ ও ইতিহাস সবকিছুই প্রায় মুছে যায়। সে সময় কবি, শিল্পী, সাহিত্যিক ও লেখকরা তাদের কর্মে চেতনা ধরে রাখতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন।”
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বলেন, “যেহেতু তারা সে সময় চেতনা ধরে রেখেছিলেন, তাই আমরা, রাজনীতিবিদরা, পরে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার এবং রাজনৈতিক উপায়ে জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করেছি। অবশেষে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে দেশ গড়ার পদক্ষেপ নিয়েছি। এখন তরুণ প্রজন্মের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ফিরতে শুরু করেছে, যা একটি বড় অর্জন।”
তিনি বলেন, “শাহাবুদ্দিন আহমেদের চিত্রকর্মের প্রদর্শনী খুবই গুরুত্বপূর্ণ; কারণ তার শিল্পকর্ম বাংলাদেশের প্রকৃতি, দেশের মানুষের অবস্থা এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে প্রতিফলিত করে। এছাড়া, শাহাবুদ্দিন একজন মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন । এখনো তার শিল্পকর্মগুলোতে মুক্তিযুদ্ধের চিন্তা ও চেতনা প্রতিফলিত হয়। এটি আমাকে অনুপ্রাণিত করে। তিনি যে মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন, তার কর্মে সেই অনুভূতি বহন করেন তিনি।”
