বড় দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্কের ভারসাম্যে গুরুত্বারোপ করেছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের যাত্রার শুরুতে, বিশ্বের বড় শক্তিগুলোর সঙ্গে সম্পর্কের ভারসাম্য বজায় রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। এছাড়া সব দেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছেন তিনি।
শুক্রবার (৯ আগস্ট) সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস এবং অন্য উপদেষ্টারা। পরে তারা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে ভাষা আন্দোলনের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন তারা।
পরে, তৌহিদ হোসেন বলেন, “আমরা সবার সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখতে চাই। বড় দেশগুলোর সঙ্গে আমাদের সম্পর্কের ভারসাম্য বজায় রাখতে হবে।”
এই মুহূর্তে দেশে আইন-শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনাই অগ্রাধিকার বলে উল্লেখ করেন তিনি। বলেন, “প্রথম লক্ষ্য অর্জিত হলে বাকিগুলো সঠিক পথে ফিরবে।”
(এই রিপোর্টের কিছু তথ্য ইউএনবি থেকে নেয়া হয়েছে।)
শনিবার আবু সাঈদের বাড়িতে যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস
কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে পুলিশের গুলিতে নিহত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আবু সাঈদের পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে শনিবার রংপুর যাচ্ছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
শুক্রবার (৯ আগস্ট) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের একটি সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে।
কোটা সংস্কার আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে প্রথম নিহত হন আবু সাঈদ। গত ১৬ জুলাই রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) এই শিক্ষার্থী গুলি করে হত্যা করা হয়। তার মৃত্যুতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়, যার ফলে ৫ আগস্ট ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটে।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) ঢাকায় পৌঁছানোর পর প্রথম বক্তব্যে অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বেরোবি শিক্ষার্থী আবু সাঈদকে স্মরণ করে বলেন, ‘তিনি বাংলাদেশের সবার হৃদয়ে থাকবেন চিরকাল।’
ড. ইউনূস বলেন, "এই সময়ে আবু সাঈদের কথা মনে পড়ছে, যে আবু সাঈদের ছবি বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষের মনে গেঁথে আছে। এটা কেউ ভুলতে পারবে না। কী অবিশ্বাস্য একটা সাহসী যুবক বন্দুকের সামনে দাঁড়িয়ে আছে এবং তারপর থেকে আর কোনো যুবক, কোনো যুবতী হার মানেনি।"
(এই রিপোর্টের কিছু তথ্য ইউএনবি থেকে নেয়া হয়েছে।)
জামালপুর কারাগারে সংঘর্ষে ৬ বন্দী নিহত,কারারক্ষীসহ আহত ৭ জন
জামালপুর জেলা কারাগারের অভ্যন্তরে বন্দীদের সংঘর্ষে, ৬ জন কারাবন্দী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় কারারক্ষীসহ আহত হয়েছেন আরো ৭ জন। বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) দুপুরে কারাগারের ভেতরে এই ঘটনা ঘটে।
কারাগারের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে জানিয়েছে কারা কর্তৃপক্ষ। নিহত বন্দীরা হলেন; আরমান, রায়হান, শ্যামল, ফজলে রাব্বি বাবু, জসিম ও রাহাত। ৬ জনই জামালপুর সদর উপজেলার বাসিন্দা।
এ ঘটনায় গুরুতর আহত ৪ বন্দী এবং ৩ কারারক্ষীকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। কোনো বন্দী পালাতে পারেনি বলে জানান জেলার আবু ফাত্তাহ।
আবু ফাত্তাহ জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরে কারাগারের ভেতরে বন্দীদের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণের সময় বন্দীরা কৌশলে জেলারকে মারধর ও জিম্মি করে কারাগার থেকে বের হবার চেষ্টা করে।
এসময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ফাকা গুলি ছোড়ে কারারক্ষীরা। পরে বিক্ষুব্ধ বন্দীরা কারাগারের ভেতরের দুইটি ভবন, জেলারের কক্ষ ও প্রধান ফটকের ভেতরে একটি ফটকে ভাঙচুরের পর অগ্নিসংযোগ করে। এসময় বন্দীরা ১৪ কারারক্ষীকে জিম্মি করে; তিনি আরো জানান।
খবর পেয়ে সেনাবাহিনী, অন্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও ফায়ার সার্ভিস সদস্যরা কারাগার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কাজ করে। রাতেই জিম্মি কারারক্ষীদের ফেরত দেয় বন্দীরা। রাত ৩টায় কারাগার পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে নেয় কারা কর্তৃপক্ষ।
জেলার আরো বলেন, কারাগারের ক্ষতিগ্রস্ত ফটক ও ভেতরে অন্যান্য ভবন দ্রুত মেরামতের জন্য গণপূর্ত বিভাগ কাজ শুরু করেছে।
জামালপুর জেলা কারাগারে থাকা ৬৬৯ জন বন্দীর মধ্যে সাজাপ্রাপ্ত বন্দী রয়েছে ১০০ জন। এছাড়া এই কারাগারে কোনো জঙ্গি নেই বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
(এই রিপোর্টের কিছু তথ্য ইউএনবি থেকে নেয়া হয়েছে।)
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিনন্দন
বাংলাদেশের নবগঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হওয়ায়, অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ইউনূসকে অভিনন্দন জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
শুক্রবার (৯ আগস্ট) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে তিনি লিখেছেন, “অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস এবং বাংলাদেশে যারা দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন, তাদের সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা। আমি আশা করি তাদের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক আরো উন্নত হবে।”
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরো লেখেন, “আমি বাংলাদেশের সর্বস্তরের সকল মানুষের উন্নয়ন, শান্তি, অগ্রগতি এবং মঙ্গল কামনা করি। ছাত্র, যুবক, শ্রমিক, কৃষক ও নারী থেকে শুরু করে সকলের প্রতি আমার অনেক অনেক শুভকামনা।”
“আমি আশা করি এই সংকট শিগগিরই কেটে যাবে এবং শান্তি ফিরে আসবে। আপনার এবং আমার ভালবাসার এই পৃথিবীতে শান্তি ফিরে আসুক। আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভালো থাকলে আমরা ভালো থাকবো;” আরো লেখেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
(এই রিপোর্টের কিছু তথ্য ইউএনবি থেকে নেয়া হয়েছে।)