করোনা পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়ায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আরেক দফা ছুটি বাড়ানো হয়েছে। ১৪ই নভেম্বর পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এক ডিজিটাল সংবাদ সম্মেলনে সরকারের এই সিদ্ধান্তের কথা জানান। গত ১৭ই মার্চ থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। করোনার ভয়াবহতার কারণে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী, জেএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা বাতিল করা হয়। শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, আগামী বছরের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত আকারে তাদেরকে ক্লাসে আনা যায় কিনা তা নিয়ে ভাবা হচ্ছে। পুরোটাই নির্ভর করছে আগামী দুই সপ্তাহ কেমন যায় তা দেখার ওপর। পরিস্থিতির উন্নতি হলেই কেবল এ নিয়ে চিন্তা ভাবনা হবে। আগামী বছরের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় ২০ লাখ শিক্ষার্থী অংশ নেয়ার কথা রয়েছে। এইচএসসিতে অংশ নেবেন প্রায় ১৩ লাখ শিক্ষার্থী। উল্লেখ্য যে, করোনা পরিস্থিতিতে প্রায় চার কোটি শিক্ষার্থীর পড়ালেখা ব্যহত হচ্ছে। নতুন বছরের প্রথম দিনে বিনামূল্যে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের বই তুলে দিয়ে যে উৎসব প্রতিবছর হয়ে থাকে এবার তাও বাতিল করা হয়েছে। স্বাস্থ্য ঝুঁকির কারণে এই সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে বলে শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন।
করোনা মহামারীর কারণে পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণির পরীক্ষা এবং মাধ্যমিক স্তরের বার্ষিক পরীক্ষা না নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এসব শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা ছাড়াই পরবর্তী শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হবেন।
বিশ্বব্যাপী শিক্ষা কার্যক্রমের বেহাল অবস্থা পর্যালোচনা করেছে জাতিসংঘ ও বিশ্বব্যাংক। ১৫০টি দেশের তথ্য সংগ্রহ করে সংস্থা দুটি সংক্রমণের ঝুঁকি থাকা স্বত্বেও স্কুল খোলা রাখার পরামর্শ দিয়েছে। বলেছে, অনলাইন বা দূরশিক্ষার সুবিধা না থাকায় উন্নত দেশের শিশুদের চাইতে মধ্য ও নিম্ন আয়ের দেশের শিক্ষার্থীরা অনেকটা পিছিয়ে পড়েছে।
ওদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত্যু ও সংক্রমণ বেড়েছে। এই একদিনে ২৫ জন মারা গেছেন। আগের দিন ২৩ জনের মৃত্যু হয়েছিল। এখন পর্যন্ত মারা গেছেন পাঁচ হাজার ৮৮৬ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমিত হয়েছেন এক হাজার ৬৮১ জন। আগের দিন সংক্রমিত হয়েছিলেন এক হাজার ৪৯৩ জন।