গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যুতে নতুন রেকর্ড হয়েছে। ২১২ জন মারা গেছেন এ সময়। এটাই একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যু। ১১ হাজার ৩২৪ জন সংক্রমিত হয়েছেন। দেশে জারি রয়েছে কঠোর লকডাউন। হাসপাতালগুলোতে জায়গা নেই। রোগী আসছে প্রতি মুহুর্তে। কেউ আসছেন অ্যাম্বুলেন্সে করে। আবার অনেকেই আসছেন ভ্যানগাড়ি বা ইজিবাইকে। জেলা-উপজেলা হাসপাতালের চিত্র প্রায় একই। একদিকে বেড সংকট, অন্যদিকে অক্সিজেনের অভাব। কোথাও কোথাও আবার চিকিৎসক কম। বিপুল সংখ্যক চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী আক্রান্ত হওয়ায় স্বাস্থ্য সেবায় কিছুটা বিঘ্ন ঘটেছে। ৮২৮৩ জন চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী করোনার সঙ্গে লড়াই করছেন। ঢাকার সিভিল সার্জন ডা. আবু হোসেন মো. মঈনুল আহসান এক চিঠিতে হাসপাতালগুলোকে করোনা রোগীদের তথ্য গণমাধ্যমে না দেয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন। প্রয়োজনীয় টিকার যোগান নেই। সরকার নানাভাবে চেষ্টা করছে সংগ্রহের। যারা গত দু' সপ্তাহে সংক্রমিত হয়েছেন তাদের নমুনায় ডেল্টা প্রকরণের সন্ধান পাওয়া গেছে । স্বাস্থ্য দপ্তরের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ১লা জুলাই একদিনে নতুন করে আট হাজার ৩০২ জনের শরীরে এই ভাইরাসটির উপস্থিতি পাওয়া গেছে। গত ৯ দিনে ৮৭ হাজার ২৮৫ জন সংক্রিমত হয়েছেন।
কীভাবে এই পরিস্থিতি সামাল দেয়া যায়, এ নিয়ে বিশেষজ্ঞদের মধ্যেই নানামত। কেউ কেউ কারফিউ কিংবা ১৪৪ ধারা জারির পরামর্শ দিচ্ছেন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র ডা. রোবেদ আমিন গণমাধ্যমকে বলেছেন, কারফিউ বা ১৪৪ ধারা জারি করা ছাড়া এই মুহুর্তে আর কোনো বিকল্প নেই। তার মতে, দেশে লকডাউন চলছে। কিন্তু মানুষ শুনছেন না। নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না জমায়েত। এভাবে চলতে থাকলে নিয়ন্ত্রণ করা খুব কঠিন। এই ধারণার সঙ্গে একমত নন বিশেষজ্ঞদের কেউ কেউ। তারা বলছেন, আড়াই কোটি খেটে খাওয়া মানুষকে খাবার না দিয়ে কারফিউ দেয়া হলে পরিস্থিতি ভয়াবহ হবে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক নজরুল ইসলাম ও প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক এবিএম আবদুল্লাহ মনে করেন, এটা কোনো যুক্তিসঙ্গত সিদ্ধান্ত হবে না। কারফিউ দিলে আক্রান্ত ব্যক্তিকে হাসপাতালে নেয়ার ব্যাপারে আরেক ধরণের সমস্যা সৃষ্টি হবে।