অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

বাংলাদেশের জাতীয় সংসদে ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেট পেশ


বাংলাদেশের জাতীয় সংসদে ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপন করা হয়েছে। অর্থমন্ত্রী আ. হ. ম. মুস্তফা কামাল ৪০ মিনিট উপস্থাপনের পর অসুস্থতার কারণে বাকি অংশ উপস্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আওয়ামী লীগের তৃতীয় মেয়াদে প্রথম বছরে ৫ লাখ ২০ হাজার ১৯০ কোটি টাকার এই বাজেট বিদায়ী অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটের ১৮ শতাংশ বেশি। এই বাজেটে ঘাটতি দাঁড়াবে ১ লাখ ৪৫ হাজার ৩৮০ কোটি টাকা। এই ঘাটতি পূরণে ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে ৪৭ হাজার কোটি টাকা, সঞ্চয়পত্র থেকে ৩০ হাজার কোটি টাকা নেয়া হবে। এবার বৈদেশিক উৎস থেকে ৭৫ হাজার ৩৯০ কোটি টাকা ঋণ নেয়া হবে। সেখান থেকে ১১ হাজার ৩৯০ কোটি টাকা আগের ঋণের কিস্তি পরিশোধে খরচ হবে।

বাজেটে ৮.২% প্রবৃদ্ধির আশা রেখে মূল্যস্ফীতি ৫ দশমিক ৫ শতাংশে আটকে রাখার প্রতিশ্রুতি রয়েছে। সবার জন্য সার্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা চালু করার জন্য একটি পেনশন অথরিটি গঠনের কথা বলা হয়েছে। অর্থমন্ত্রী মুস্তফা কামাল জনগণের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনাদের জন্য সুখবর রয়েছে।

নতুন বাজেটে বিভিন্ন ধরনের শুল্ক কর আরোপের প্রস্তাবে স্মার্টফোন, ভোজ্যতেল, আইসক্রিম, তরল দুধ, গুড়ো দুধ, আমদানি করা চিনি, প্রক্রিয়াজাত চিনি, গ্লুকোজ, বিড়ি-সিগারেট, গণপরিবহন ও অ্যাম্বুলেন্স ছাড়া সব ধরনের যানবাহনের নিবন্ধন, রুট পারমিট, ফিটনেস সনদ, মালিকানা সনদের ওপর ১০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপের প্রস্তাব করা হয়েছে।

দাম কমার প্রস্তাবের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে স্বর্ণের আমদানি শুল্ক হ্রাস, দেশে উৎপাদিত মোটর সাইকেল ও কৃষি যন্ত্রপাতির দাম কমবে। মুক্তিযোদ্ধাদের মাসিক ভাতা বাড়বে ২ হাজার টাকা। ১৮ বছরের কম বয়সীরাও জাতীয় পরিচয়পত্র পাবে।

বিরোধী বিএনপি এই বাজেটকে ঋণনির্ভর বাজেট বলে বর্ণনা করেছে। দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, সুশাসনের অভাবে দেশের সামষ্টিক অর্থনীতি বাধাগ্রস্থ। ব্যক্তি খাতে বিনিয়োগ বন্ধ, শেয়ারবাজারে অস্থিরতা ও ব্যাংকে তারল্য সংকট এখন চরমে।

অর্থনীতিবিদ ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য এক সংক্ষিপ্ত প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, প্রস্তাবিত বাজেটে নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিসমূহ অনুপস্থিত।

please wait

No media source currently available

0:00 0:02:22 0:00
সরাসরি লিংক


XS
SM
MD
LG