বাংলাদেশে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তারিখ নিয়ে এখনো বিতর্ক চলছে। জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট বলেছে, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা না করে ৩০শে ডিসেম্বর নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। ঐক্যফ্রন্ট আরো বলেছে, বড়দিন এবং থার্টিফার্স্ট নাইটের কারণে বিদেশী পর্যবেক্ষকরা এ সময় আসতে পারবেন না। এই অবস্থায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদার সাফ কথা- জাতীয় সংসদ নির্বাচন আর পেছানো হবে না।
এর জবাব দিয়েছে ঐক্যফ্রন্ট। তারা বলেছে, এক সপ্তাহ নয়। অন্তত একমাস পেছাতে হবে। তারিখ পেছানোর দাবি নিয়ে ঐক্যফ্রন্ট নেতা ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল আগামীকাল নির্বাচন কমিশনে যাবে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা বলেছেন, অন্তত দুটি কারণে নির্বাচন পেছানো সম্ভব নয়। একদিকে বিশ্ব ইজতেমা। অন্যদিকে ২৯শে জানুয়ারির মধ্যে সংসদের প্রথম অধিবেশন বসতে হবে। তার মতে, এ দুটি কারণে নির্বাচন পেছানো যাবে না।
ঐক্যফ্রন্টের মুখপাত্র মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন- অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন পরিচালনা করার জন্য যে ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন তা করতে ব্যর্থ হয়েছে নির্বাচন কমিশন। তিনি বলেন, ভোট গ্রহণের যে তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে সে সময় বড়দিনের ছুটি থাকবে। এ কারণে বিদেশী পর্যবেক্ষকদের এখানে আসার সুযোগ থাকবে না।
বিএনপি'র এই যুক্তির সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, বিদেশী পর্যবেক্ষকদের জন্য জাতীয় নির্বাচনের তারিখ পেছাতে হবে এর চেয়ে হাস্যকর, অবান্তর, ভিত্তিহীন ও অযৌক্তিক দাবি আর হতে পারে না। উল্লেখ্য যে, ২০০৮-এর নির্বাচনেও দুবার তফসিল বদল করা হয়েছিল। ঢাকা থেকে মতিউর রহমান চৌধুরী'র রিপোর্ট।