ডেঙ্গু পরিস্থিতির আরো অবনতি হয়েছে। প্রত্যন্ত গ্রামে-গঞ্জেও এর বিস্তার ঘটেছে। ফলে আতঙ্ক এখন শুধু ঢাকায় নয়। দেশের আনাচে-কানাচেও। ঢাকার হাসপাতালগুলোতে সিট খালি নেই। জেলা শহরের হাসপাতালগুলোতে সুযোগ-সুবিধা সীমিত। গ্রামে-গঞ্জে স্বাস্থসেবা অনুপস্থিত। অনেকেই ছুটছেন শহরের দিকে। যদিও দেশব্যাপী কীটনাশক সঙ্কট। সুযোগ-সন্ধানীরা উধাও করে দিয়েছে। বাড়িয়ে দিয়েছে কিটের দাম। অনেক হাসপাতালে কিট না থাকায় রোগীর চিকিৎসা হচ্ছে না। বাইরে থেকে কিট আনার চেষ্টা চলছে। তবে কবে নাগাদ আসবে তা অনেকটা অনিশ্চিত। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কন্ট্রোল রুমের তথ্যÑ গত ২৪ ঘণ্টায় ১৬৮৭ জন মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে শিশুর সংখ্যা বেশি। এই বছর ডেঙ্গু গ্রামে-গঞ্জে কেন ছড়ালো বিশেষজ্ঞরা চটজলদি কোন জবাব দিতে পারছেন না। তারা বলছেন, গবেষণা ছাড়া এটা বলা সম্ভব নয়। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কীটতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক কবিরুল বাশার মনে করেন, এবারের ডেঙ্গু অতীতের মতো নয়। প্যাটার্ন সম্পূর্ণ আলাদা।
ওদিকে দেশের ক্রীড়াঙ্গনেও ডেঙ্গুর ভয়াবহতা ছড়িয়েছে। ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন এসএ গেমসের ক্যাম্পে থাকা আট অ্যাথলেট। বাংলাদেশ ওলিম্পিক এসোসিয়েশন-এর কর্মকর্তারা এ নিয়ে চিন্তিত। কারণ এসএ গেমসের ১৩তম আসর বসছে নেপালে ডিসেম্বরে।