জামায়াতে ইসলামীর আমীর মওলানা মতিউর রহমান নিজামীর ফাঁসি দন্ড কার্যকরের সময়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করেছিল তুরস্ক। স্বয়ং প্রেসিডেন্ট এরদোগান মৃত্যুদন্ডাদেশের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছিলেন এবং ঢাকাস্থ রাষ্ট্রদূতকে দেশে তলব করেছিলেন। তুরস্কের রাষ্ট্রদূত দেভরিক ওজতুর্ক মাস তিনেক পরে কয়েকদিন আগে ঢাকায় ফিরে আসেন। মঙ্গলবার ঢাকায় এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনাল সম্পর্কে এবার ভিন্ন এক বক্তব্য দেন। রাষ্ট্রদূত বলেন, যুদ্ধাপরাধ বিচার অবশ্যই বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়। বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলানোর ব্যাপারে তুরস্কের কোনো ইচ্ছে নেই। তবে তুরস্কে মৃত্যুদন্ড বিলোপ করা হয়েছে। আর সে অবস্থান থেকেই ওই সময় প্রতিক্রিয়া জানানো হয়েছিল। ওই দেশে ব্যর্থ সামরিক অভ্যুত্থানের ব্যাপারে এক প্রশ্নের জবাবে রাষ্ট্রদূত বলেন, ওই ব্যর্থ অভ্যুত্থানের সাথে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কর্মরত তুরস্কের প্রায় তিনশ কূটনীতিক জড়িত বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। সন্দেহভাজন তিনজন ছিলেন বাংলাদেশে। এক দম্পতি অন্য দেশে চলে গেছেন। আরেকজন ফিরে গেছেন আংকারায়। রাষ্ট্রদূত বলেন, তার ভাষায়, সামরিক অভ্যুত্থানের মদদদাতা ফেতুল্লাহ গুলেনের সমর্থক রয়েছে বিশ্বের প্রায় ১৬০টি দেশে। বাংলাদেশেও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ কিছু প্রতিষ্ঠানে এমন ব্যক্তির উপস্থিতি রয়েছে। এবং বিষয়টি বাংলাদেশ সরকারকে অবহিত করা হয়েছে
ঢাকা থেকে আমীর খসরুর রিপোর্ট।