দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে শনিবার আহত বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ এবং প্রগতিশীল লেখক অধ্যাপক ড. জাফর ইকবাল বর্তমানে আশঙ্কা মুক্ত রয়েছেন।
ঢাকা ক্যান্টনমেন্টের সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল সিএমএইচ এর কনসালট্যান্ট সার্জন মেজর জেনারেল মুন্সী মোহাম্মদ মুজিবুর রহমান রোববার এক প্রেস ব্রিফিং এ ড. জাফর ইকবালের বর্তমান শারীরিক অবস্থার এ তথ্য জানিয়ে বলেন তাঁর মাথায় চারটি, পিঠে ও বাঁ হাতে একটি করে মোট ছয়টি আঘাত আছে। তিনি বলেন তাঁকে আরও কিছুদিন হাসপাতালে থাকতে হবে।
শনিবার বিকেলে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে আহত হওয়ার পর উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট থেকে রাতেই তাঁকে ঢাকা সিএমএইচ এ স্থানান্তর করা হয়।এদিকে ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী হাসিনা ড. জাফর ইকবালের ওপর হামলার ঘটনাকে ধর্মীয় উগ্রবাদীদের কাজ বলে আখ্যায়িত করেন। অন্যদিকে, হামলাকারী ফয়জুর রাহমানেকে র্যাপিড একশান ব্যাটেলিয়ন র্যাব তাদের হেফাজতে নিয়েছে।
সিলেট শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ এবং প্রগতিশীল লেখক অধ্যাপক ড. জাফর ইকবাল শনিবার দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে আহত হওয়ার বিষয়টিকে বিচ্ছিন্ন কোন ঘটনা হিসেবে দেখছেননা বিশিষ্টজন এবং সাধারণ মানুষ।
ভয়েস অফ আমেরিকাকে দেয়া প্রতিক্রিয়ায় তাঁরা এ ঘটনাকে মুক্ত চিন্তার ওপর আঘাত হিসেবে বর্ণনা করে বলেছেন বিচারহীনতার কারনেই হামলাকারীরা এ ধরনের ঘটনা ঘটানোর সাহস পাচ্ছে। এদিকে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান দাবী করেছেন অধ্যাপক জাফর ইকবালের ওপর হামলার সময় নিরাপত্তার কোন ত্রুটি ছিল না। তিনি সাংবাদিকদের বলেছেন ত্রুটি থাকলে হামলাকারী ধরা পড়ত না। তিনি বলেন হামলাকারী ধরা পড়েছে এবং তার কাছে হামলার বিষয়ে বিস্তারিত জানা যাবে।
সিলেটের জালালাবাদ থানায় হামলাকারী ফয়জুর রহমানের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত বেশ কয়েকজনকে আসামি করে মামলা করেছে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। হামলার ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হামলাকারী ফয়জুরের চাচা ও মামাকে আটক করেছে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
সিলেট থেকে সংবাদদাতারা জানিয়েছেন ২৫ বছর বয়সী হামলাকারী ফয়জুরের গ্রামের বাড়ি সুনামগঞ্জ হলেও দীর্ঘদিন ধরে সে সিলেটে বসবাস করে আসছে । ১০/১২ বছর আগে সিলেটের উদ্দেশ্যে সুনামগঞ্জ ছাড়ার আগে সে মাদ্রাসায় পড়াশুনা শুরু করত বলে
গ্রামবাসীদের বরাত দিয়ে সংবাদদাতারা জানিয়েছেন । তবে সিলেটে সে কি পেশায় জড়িত ছিল সে সম্পর্কে নির্ভর যোগ্য কোন তথ্য এখন পর্যন্ত কেউ দিতে পারেনি।