জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডের পরিত্যক্ত কারাগারে নেয়া হয়েছে।
এর আগে নজিরবিহীন নিরাপত্তার মধ্যে বকশীবাজারের বিশেষ আদালতের বিচারক ড. আখতারুজ্জামান মাত্র ১২ মিনিটে এই মামলার রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় খালেদার ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষীদের আদালত কক্ষ থেকে চলে যেতে বলেন বিচারক। ৬৩২ পৃষ্ঠার এই রায়ে খালেদা জিয়াকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। ক্ষমতায় থেকে অর্থ আত্মসাতের মাধ্যমে অপরাধমূলক বিশ্বাসভঙ্গের অভিযোগ আনা হয়েছে খালেদার বিরুদ্ধে। এতে বিএনপি চেয়ারপারসনের ৫ বছর কারাদন্ড দেয়া হয়।
এই মামলায় ৬ জন আসামী। খালেদার বড় ছেলে লন্ডনে রাজনৈতিক আশ্রয়প্রাপ্ত তারেক রহমান, সাবেক মুখ্য সচিব ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, সাবেক এমপি কাজী সলিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমদ ও জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমানকে দশ বছর কারাদন্ড দেয়া হয়েছে।
সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে দুর্নীতি দমন কমিশন ২ কোটি ৯০ লাখ টাকা আত্মসাতের মামলা করেছিল। আসামীদের প্রত্যেককে ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। আদালত বলেছেন, অভিযোগ প্রমাণিত হলেও খালেদা জিয়ার সাজা অন্য আসামীদের তুলনায় কম হয়েছে তার বয়স ও সামাজিক মর্যাদা বিবেচনায়।
বিএনপি বলেছে, এই রায় ফরমায়েসী। এর বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যাবে দলটি। শাসক আওয়ামী লীগের তরফে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে আনন্দ মিছিল হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যারা টাকা চুরি করে, মানুষ পুড়িয়ে মারে তাদের বিচার এভাবেই হয়।
ওদিকে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা ও অস্ট্রেলিয়া তাদের নাগরিকদের বাংলাদেশ ভ্রমণে সতর্কতা জারি করেছে। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দুর্নীতি মামলার রায় ঘোষণার পটভূমিতে দেশ চারটির তরফে এই সতর্কতা জারি করা হয়।