বগুড়ায় পরপর তিনটি শিশুধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে রাত পর্যন্ত ধর্ষিতা থানায় এসে ধর্না দিলেও মামলা নেয়নি বগুড়া সদর থানা পুলিশ।
ধর্ষিতা ওই মেয়ে তার বাবার বাড়ি থেকে স্বামীর বাড়ি যাওয়ার জন্য গত ১৮ এপ্রিল দুপুরে একটি সিএনজিতে ওঠে। ওই সিএনজি চালক নাজমুল জোরকরে তার একজন কথিত ভাবির বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে রাত পর্যন্ত টানা ধর্ষণ করে। ওই ঘটায় মামলা দিতে মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত অপেক্ষা করেও মামলা দিতে পারেনি।
এবিষয়ে ধর্ষিতার স্বামী আলামিন বলেন, সকাল সাড়ে নয়টা থেকে থানায় পড়ে আছি পুলিশ মামলা নিতে টালবাহানা করছে। তিনি বলেন, আমি গরীব মানুষ ভ্যান চালাই বলে আমার সাথে পুলিশ খারাপ ব্যবহার করেছে। মামলা নিচ্ছে না। বেলা তিনটার দিকে শেষ পর্যন্ত মামলার ড্রাফট করা হলেও মামলাটি এট্টি হয়নি। পুলিশ তাকে বলেছে রাতে হবে। আলামিন আরো বলেন, আমার কষ্টের জমানো টাকা ২হাজার পুলিশ সদস্য নির্মলকে দিতে চাইছিলাম কম বলে নেয়নি। আরো টাকা লাগবে বলে জানিয়েছেন তাকে।
একজন অপরিচিত সিএনজি চালক এভাবে ধর্ষণ করতে পারে না উল্লেখ করে বগুড়া সদর থানার অফিসার্স ইচার্জ ওসি বদিউজ্জামান ভয়েস অফ আমেরিকাকে বলেন, সমস্যা আছে। জ্ঞিাসাবাদ করতে হবে আগে। এমন ঘটনাও ঘটতেই পারে না উল্লেখ করে তিনি উল্টো বলেন ওই মেয়ের সমস্যা আছে। পরে কয়েকজন সাংবাদিক ওসির সাথে কথা বললে মামলা নেয়া হবে বলে জানান।
অপরদিকে বগুড়ার গাবতলী উপজেলায় তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী এবং নন্দীগ্রাম উপজেলায় চতুর্থ শ্রেণি আরো এক শিশু শিক্ষার্থী ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এই তিন ধর্ষণ ঘটনার সাথে যারা জড়িত তারা সবাই ভ্যান এবং অটোরিক্সা চালক।
বগুড়া সংবাদদাতা প্রতীক ওমরের প্রতিবেদন।