অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

ঢাকা সিটি নির্বাচনে একটি ওয়ার্ডের নির্বাচন স্থগিত


ঢাকা সিটি নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি কেন অস্বাভাবিক কম ছিল তা নিয়ে যখন চারদিকে সরব আলোচনা, ঠিক সে মুহূর্তে ফল জালিয়াতির একটি খবর নতুন মাত্রা যুগিয়েছে। একজন ওয়ার্ড কমিশনারকে প্রথমে জয়ী, পরে পরাজিত ঘোষণা করা হয়। পরাজিত প্রার্থী চ্যালেঞ্জ করলে সোমবার রিটার্নিং কর্মকর্তা আব্দুল বাতেন নির্বাচন স্থগিত ঘোষণা করেন। এই ঘটনাটি ঘটেছে ঢাকা দক্ষিণের ৩১ নম্বর ওয়ার্ডে। ভোটের ফল পাল্টে দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী শেখ আলমগীর। বলেন, ভোটের সংখ্যা বদল করে প্রতিপক্ষ আওয়ামী লীগের বিরোধী প্রার্থী জোবায়ের আদেলকে জয়ী ঘোষণা করা হয়েছে। প্রমাণ হিসেবে তিনি জানান, আরমানিটোলা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে আলমগীর পেয়েছেন ৪৩৯ ভোট। অন্য এক প্রার্থী ইংরেজ আহমেদ পেয়েছেন ২০২ ভোট। অথচ প্রিজাইডিং অফিসার আলমগীরের ভোট অন্য প্রার্থীকে দিয়ে বিজয়ী ঘোষণা করেন। এর ফলে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী জোবায়ের আদেল জয়ী হন। বাস্তবে ঘটে এর বিপরীত। ইভিএম-এ ফল বিভ্রাটের কোনো সুযোগ নেই বলে মনে করেন নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার। তিনি বলেন, মেশিনে প্রিন্ট বের হয়েছে। এখানে এটা কি করে হলো? অনুসন্ধানে জানা যায়, ইভিএম-এর প্রিন্টআউট বদল করে টাইপ করে রেজাল্ট শীট তৈরি করা হয়। আবেদনকারী শেখ আলমগীর বলেন, এটা ভুল নয়, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
উল্লেখ্য যে, ভোটের ফলাফল ঘোষণায় সাড়ে ১১ ঘণ্টা সময় নেয়া হয়। যেটা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন নির্বাচন বিশেষজ্ঞরা। সাবেক নির্বাচন কমিশনার ড. শাখাওয়াত হোসেন বলেন, এটা মোটেই গ্রহণযোগ্য নয়।
ওদিকে কম ভোট পড়লেও দক্ষিণের কয়েকটি কেন্দ্রে অস্বাভাবিক বেশি ভোটও পড়েছে। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ভোট পড়েছে খিলগাঁও নাসিরাবাদ প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে। সেখানে ভোট পড়েছে ৭৬ ভাগ। নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম এটা স্বীকার করেছেন।
উল্লেখ্য যে, দক্ষিণ সিটিতে ২৯ ভাগ ও উত্তরে ২৫ ভাগ ভোট পড়েছে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

মতিউর রহমান চৌধুরী

XS
SM
MD
LG