আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশান আর্মি কিংবা সংশ্লিষ্ট অন্যান্য মুসলিম উগ্রবাদি সংগঠনগুলোর সম্পৃক্ততা হয়ত মুদ্রার এক পিঠ । কিন্তু মুদ্রার অপর পিঠে রয়েছে উগ্র জাতীয়তাবাদ বা এক জাতিগোষ্ঠির উপর , অপর জাতিগোষ্ঠির প্রাধান্য বিস্তারের আকাঙ্খা । উগ্রবাদ কিংবা মৌলবাদ , যাই-ই বলুন না কেন , এ কেবল মাত্র ধর্মীয় আবর্তে যে আবদ্ধ নয় ।
উগ্রবাদ আসলে হচ্ছে এমন কিছু বিশ্বাসকে আঁকড়ে ধরা , যার বাইরে অন্য সব কিছুকে অগ্রাহ্য করা , প্রান্তিক অবস্থানে নিয়ে যাওয়া । হতে পারে সেটা ধর্মীয় বিশ্বাস , হতে পারে রাজনৈতিক বা সাংস্কৃতিক মতাদর্শ অথবা জাতিগোষ্ঠিগত সংকীর্ণতা। রোহিঙ্গারা যে নির্যাতনের সম্মুখীন হচ্ছে তার বিপরীতে একদল লোক উগ্রবাদের দিকে ঝুকে পড়ছে।
নিরাপত্তার সংজ্ঞা কেবল মাত্র প্রথাগত সামরিক সংজ্ঞার মধ্যে সীমিত নয়। বাস্তুহারা , নিজের দেশ থেকে বিতাড়িত এই সব মানুষের বেঁচে থাকার অধিকার এবং সামগ্রিক ভাবে মানবাধিকার নিশ্চিত না হলে উগ্রবাদ , কেবল উগ্র থেকে উগ্রতরই হতে পারে।