অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

দুই বান্ধবীকে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় ১৮ বছর পর অপরাধীদের মৃত্যুদন্ড কার্যকর


ফাঁসি কার্যকর হওয়া দুই আসামী আজিজুল ও মিন্টু।
ফাঁসি কার্যকর হওয়া দুই আসামী আজিজুল ও মিন্টু।

চুয়াডাঙ্গার আলোচিত দুই বান্ধবীকে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি আজিজুল ও মিন্টুর ফাঁসি কার্যকর হয়েছে। ৪ঠা অক্টোবর, সোমবার রাত পৌনে ১১টায় যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে তাদের ফাঁসি দেয়া হয়।

যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার তুহিন কান্তি খান গণমাধ্যকে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, আদালতের আদেশ অনুযায়ী ওই আসামির ফাঁসি কার্যকরের পর সোমবার দিবাগত রাত ১২টার পরে স্বজনদের কাছে মরদেহ তুলে দেয়া হয়। পুলিশ পাহারায় রাতেই তাদের গ্রামের বাড়ি চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার রায়লক্ষ্মীপুরে লাশ নেয়া হয়। ৫ই অক্টোবর, মঙ্গলবার সকালে তাদের জানাজা অনুষ্ঠিত হয় এবং দুইজনকে পাশাপাশি দাফন করা হয়।

মামলাসূত্রে জানা যায়, ২০০৩ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর আলমডাঙ্গা উপজেলার জোরগাছা হাজিরপাড়া গ্রামের দুই নারীকে ধর্ষণের পর গলা কেটে হত্যা করা হয়। পরের দিন এ ঘটনায় নিহতের পরিবার থেকে আলমডাঙ্গা থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আজিজুল-মিন্টুর এবং একই উপজেলার লক্ষ্মীপুর গ্রামের সুজন ও মহিউদ্দিকে আসামি করা হয়। মামলা বিচারাধীন অবস্থায় আসামি মহিউদ্দিনের মৃত্যু হয়।

ওই মামলায় চুয়াডাঙ্গার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালত ২০০৭ সালের ২৬ জুলাই সুজন, আজিজ ও মিন্টুকে মৃত্যৃদন্ড দেয়। পরে ওই রায়ের বিরুদ্ধে আসামীদের পক্ষ থেকে উচ্চ আদালতে আপিল করা হয়। আদালত আপিল শুনানি শেষে আসামিআজিজুল ও মিন্টুর ফাঁসির আদেশ বহাল রাখে এবং সুজনকে মামলা থেকে অব্যাহতি প্রদান করেন। সুজন চলতি বছরের ২০ জুলাই কারাগার থেকে মুক্তি পান।

এদিকে দুই আসামির ফাঁসি কার্যকরের জন্য কয়েক দিন থেকেই প্রস্তুতি নেয়া শুরু করে যশোর কেন্দ্রীয় কারাগার। ২রা অক্টোরব আসামিদের শেষ ইচ্ছা পূরণের জন্য প্রায় ৫০ জন স্বজনের সাথে সাক্ষাত করার সুযোগ দেয় এবং পছন্দের খাবার খাওয়া হয়।

আসামিদের ফাঁসি কার্যকরের পূর্বে যশোরের জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খান, পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়াদ্দার, সিভিল সার্জন ডা: শেখ আবু শাহীন ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কাজী মো: সায়েমুজ্জামান কারাগারে উপস্থিত হন। ফাঁসির আগে কারা মসজিদের ইমাম আসামীদের গোসল করে তাওবা পড়ান। এরপর আসামিদেরকে আদালতের রায় পড়ে শোনানো হয়। পরে রাত পৌনে ১১টায় প্রথমে মিন্টু এবং তার কিছুক্ষণ পর আজিজকে ফাঁসি দেয়া হয়।

XS
SM
MD
LG