জিয়া এতিমখানা দুর্নীতি মামলায় দ-প্রাপ্ত বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া চার মাসের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন পেয়েছেন। সোমবার বিচারপতি ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি শহিদুল করিমের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ জামিনের এ আদেশ দেন। হাইকোর্টের তরফে তখন বলা হয়, খালেদা জিয়া বয়স্ক নারী। তার শারীরিক নানা জটিলতা রয়েছে। এসব বিবেচনা করে তাকে চার মাসের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেয়া হলো। দুর্নীতি দমন কমিশন বলেছে, তারা হাইকোর্টের এ আদেশের স্থগিতাদেশ চাইবে। রায় ঘোষণার পর সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ বলেছেন, বিএনপি চেয়ারপারসনের মুক্তি পেতে বাধা নেই। অল্প আগে কুমিল্লা থেকে প্রাপ্ত খবরে জানা যায়, বেগম খালেদা জিয়াকে একটি নাশকতা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। আগামী ২৮শে মার্চ কুমিল্লার আদালতে হাজির করার জন্য প্রডাকশন ওয়ারেন্ট ইস্যু করা হয়েছে। গত ৮ই ফেব্রুয়ারি বিচারিক আদালত খালেদা জিয়াকে ৫ বছরের কারাদ- দেন। একই সঙ্গে খালেদা জিয়ার ছেলে তারেক রহমানসহ মামলার অপর পাঁচ আসামীর প্রত্যেককে ১০ বছর সশ্রম কারাদ- দেয়া হয়।
ওদিকে সংবিধান প্রণেতা ড. কামাল হোসেন খালেদা জিয়ার জামিন লাভের আদেশকে স্বাগত জানিয়েছেন। এক বিবৃতিতে বলেন, আইনের শাসনে আইনের নিরপেক্ষ প্রয়োগ করে স্বাধীন বিচার বিভাগ। কাজেই স্বাধীন বিচার বিভাগের গুরুত্ব সবাইকে উপলব্ধি করতে হবে। এতে দেশ ও জনগণ উপকৃত হবে। বিবৃতিতে অবশ্য তিনি উল্লেখ করেছেন যে, এই ধরনের মামলায় জামিন নিয়মিতভাবে হওয়া দরকার। কিন্তু এই মামলায় আদেশ পেতে কয়েকদিন বিলম্বিত হয়েছে।