অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

সাত জেলায় লকডাউন কার্যকর, ডিসেম্বরের মধ্যে দশ কোটি ডোজ টিকা আসছে


ঢাকার আশপাশের সাত জেলায় মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে লকডাউন কার্যকর হয়েছে। এতে করে ঢাকার দিকে কোনো বাস আসছে না। ঢাকা থেকেও দূরপাল্লার কোনো বাস যাচ্ছে না। লঞ্চ যোগাযোগও বিচ্ছিন্ন। ট্রেন চলছে। তবে লকডাউন রয়েছে এমন জেলায় ট্রেন থামছে না। ভারী বৃষ্টি আর লকডাউনে জনজীবন অনেকটা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। পোশাক কারখানা আগের মতোই লকডাউনের আওতার বাইরে। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের উর্ধগতি রোধ করতেই লকডাউন দেয়া হয়েছে।

বাংলাদেশি গবেষকরা তিন হাজার ২২০ জন মানুষের ওপর গবেষণা চালিয়ে আশাব্যঞ্জক খবর দিয়েছেন। আইসিডিডিআর,বি পরিচালিত এই গবেষণায় ঢাকার ৭১ শতাংশ এবং চট্টগ্রামের ৫৫ শতাংশ মানুষের শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে বলে গবেষকরা নিশ্চিত হয়েছেন। এই গবেষণার অন্যতম উদ্দেশ্য ছিল, বস্তি এবং বস্তির বাইরে থাকা মানুষের রক্তে কোভিড-১৯ এর উপস্থিতি এবং এর সম্ভাব্য কারণ নির্ণয় করা। ২০২০ সনের অক্টোবর থেকে এ বছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এই গবেষণা চালানো হয়। টিকার সংকটে দেশব্যাপী যখন হাহাকার চলছে তখন টিকা ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা জানিয়েছেন, এ বছরের মধ্যে বিভিন্ন সূত্র থেকে ১০ কোটি ডোজ টিকা পাওয়া যাবে। সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানান, স্থানীয়ভাবে টিকা উৎপাদনের বিষয়টিও সক্রিয় বিবেচনাধীন রয়েছে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানিয়েছেন, জনসন অ্যান্ড জনসনের সাত কোটি ডোজ টিকা কেনার চেষ্টা করছে সরকার। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও গ্যাভি পরিচালিত কোভ্যাক্স সুবিধার আওতায় এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের সহযোগিতায় এই টিকা কেনা হবে। যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের দরিদ্র দেশগুলোকে পাঁচ কোটি ডোজ টিকা সরবরাহ করবে। বাংলাদেশও এই তালিকায় রয়েছে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন টিকা প্রাপ্তি নিয়ে মোটেও আশাবাদী নন। মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, বড় বড় পণ্ডিতরা টিকার বিষয়ে কত কী বলছে। আদৌতে তারা মুলা দেখাচ্ছে। এ নিয়ে শুধু গল্পই শুনছি। দেয়ার কোনো আগ্রহ দেখছিনা।

বাংলাদেশ ও ভারত সীমিত পর্যায়ে ভ্রমণ সুবিধা চালু করেছে। আপাতত জটিল রোগে আক্রান্তরা মেডিকেল ভিসায় এই সুযোগ পাচ্ছেন। গত ২১শে জুন ২৯ জন বাংলাদেশি চিকিৎসার জন্য ভারত গেছেন। পাশাপাশি বাংলাদেশে আটকেপড়া ২৫ জন ভারতীয় নাগরিক নিজ দেশে ফিরে গেছেন। গত ২৬শে মার্চ থেকে দু’দেশের সীমান্ত বন্ধ রয়েছে।

ওদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ৭৬ জন মারা গেছেন। এ সময়ে নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন চার হাজার ৮৪৬ জন।

XS
SM
MD
LG