বাংলাদেশে পড়তে আসা নেপালী শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদ জারি রেখেছেন। বিশেষ করে যেসব ছাত্রী মেডিকেলে পড়ছেন তারাই সোচ্চার বেশি। প্রতিবাদের কেন্দ্রবিন্দুতে একজন মন্ত্রী। গেল সপ্তাহের মাঝামাঝি সে দেশের আইন ও বিচারমন্ত্রী শের বাহাদুর তামাং ঢাকায় পড়তে আসা মেডিকেল ছাত্রীদের নিয়ে এক যৌন আকর্ষণযুক্ত মন্তব্য করেছিলেন। বলেছিলেন, সার্টিফিকেট পাবার জন্য এই মেয়েরা নিজেদের বিক্রি করে দেয়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম তা লুফে নেয়। প্রতিক্রিয়া হয় ঢাকায়, কাঠমা-ুতেও। প্রতিবাদে ফেটে পড়ে ছাত্রীরা। প্রায় ৩ হাজার নেপালী শিক্ষার্থী বাংলাদেশে পড়ালেখা করছে। তারাও প্রতিবাদে সামিল হয়। ঘেরাও করে নেপালী দূতাবাস। ঢাকায় বিদেশ মন্ত্রণালয় নেপালী রাষ্ট্রদূতকে ডেকে এই অশালীন মন্তব্যের প্রতিবাদ জানায়। এর পরিণতিতে মন্ত্রী ইস্তফা দিতে বাধ্য হন। এর পরেও প্রতিবাদ থামেনি। শিক্ষার্থীদের দাবি, পদত্যাগ যথেষ্ট নয়। তাকে ক্ষমা চাইতে হবে। বক্তব্য প্রত্যাহার করতে হবে। শুক্রবার বিকেলে যখন বাংলাদেশ মেডিকেলে পড়ুয়া এমবিবিএস ৪র্থ বর্ষের ছাত্রী সীমায়া দবের সঙ্গে কথা বলি, তখন তিনি রীতিমতো উত্তেজনায় কাপছিলেন। বললেন, কি নিয়ে ফিরবো দেশে।
নেপালী ছাত্র-ছাত্রীরা ঢাকায় এমনিতেই নানা সমস্যার মধ্যে রয়েছেন। একদিকে থাকার সমস্যা। খরচপাতি অস্বাভাবিক। পড়ালেখার ফি অনেক বেশি। ক্লাসরুমে ভাষার সমস্যাও প্রকট। ইংরেজিতে পড়ানোর কথা থাকলেও বেশির ভাগ ক্ষেত্রে বাংলায় ক্লাস নেয়া হয়। এসব পার করে যখন একজন নেপালী শিক্ষার্থী দেশে ফেরে তখন তার গায়ে যদি এমন কলঙ্ক লেপে দেয়া হয় তখন কাকে কি বলবো? নাম প্রকাশ না করার শর্তে মন্তব্য করলেন একজন ছাত্রী।
ঢাকা থেকে মতিউর রহমান চৌধুরীর রিপোর্ট।