ঢাকায় বিশ্লেষকরা বলছেন, রাখাইনে রোহিঙ্গাদের উপরে পরিচালিত সহিংসতা বন্ধ করা এবং বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের ফেরত নেয়া প্রশ্নে মিয়ানমারের পক্ষ থেকে নানা ফন্দি-ফিকিরে পূর্ণ এবং নিত্যনতুন শর্তারোপের আশ্রয় নেয়া হলেও বাংলাদেশ এখনো দ্বিপাক্ষিক ভিত্তিতে সমস্যা সমাধানের বিষয়টিকেই বেশি প্রাধান্য দিচ্ছে বলে প্রতীয়মান হচ্ছে।
বিশ্লেষকদের মতে, এ রকম বড় ধরনের সংকট সমাধানে দ্বিপাক্ষিকতার পাশাপাশি বহুপাক্ষিকতার কূটনীতি এবং দেশটির উপরে আন্তর্জাতিক চাপ বৃদ্ধির নানা পথ খোলা রাখতে হয় ও বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগ নিতে হয়। বাংলাদেশ যদি ‘কোয়ায়েট ডিপ্লোম্যাসি’র পাশাপাশি, জোরদার ভাবে নানা পথ ও পদ্ধতি গ্রহণের কূটনীতির পথ গ্রহণ না করে তাহলে ফলাফল ইতিবাচক হবে কিনা তা নিয়ে সংশয় থেকে যায়।
এসব বিষয় নিয়ে বিশ্লেষণ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক এবং বিশ্লেষক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ। তিনি মনে করেন, রোহিঙ্গা সংকটের গভীরতা ও ব্যাপকতা এতো বিশাল যে বিষয়টি দ্বিপাক্ষিকতার ভিত্তিতে সমাধানের পর্যায়ে আর নেই। এর জন্য প্রয়োজন বহুপাক্ষিকতার কূটনীতি।
মিয়ানমারে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসানের সফর এবং বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের সবশেষ অবস্থা নিয়ে রোকেয়া হায়দার ও আনিস আহমেদের বিশ্লেষন। কক্সবাজার থেকে টেলিফোনে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সবশেষ অবস্থা জানান স্থানীয় সাংবাদিক মোয়াজ্জেম হোসেন শাকিল।