গত বছরের আগস্টের পর বাংলাদেশে আশ্রয়গ্রহণকারী রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সংকট নিরসন এবং প্রত্যাবাসনের লক্ষ্য বাংলাদেশের পক্ষ থেকে নানামুখী উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। এই উদ্যোগেরই একটি অংশ হিসেবে সবশেষ বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের প্রথম একটি দলকে তাদের নিজ দেশ মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনের সর্বাত্মক উদ্যোগ চলছে, বাংলাদেশের পক্ষ থেকে। গত নভেম্বরে স্বাক্ষরিত চুক্তির আলোকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে মিয়ানমারের কাছে দেয়া নামের তালিকায় যাদের নামের ব্যাপারে মিয়ানমার সম্মত হয়েছে প্রথম দফায় এমন তিন হাজার রোহিঙ্গাকে রাখাইনে প্রত্যাবাসন করা হবে বলে অতিসম্প্রতি বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের জানিয়েছেন। আবার অন্যদিকে ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যাতে রোহিঙ্গা ইস্যুতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় মিয়ানমারের উপরে চাপ সৃষ্টি করে বাংলাদেশ তার চেষ্টাও চালিয়ে যাচ্ছে। তাছাড়া আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত বা আইসিসিতে গণহারে রোহিঙ্গা বিতারণের বিষয়ে তদন্তের মাধ্যমে রোহিঙ্গা সংকটের একটি কার্যকর সমাধান হবে বলে আশাবাদী বাংলাদেশ। তদন্ত পরিচালনায় আইসিসির সিদ্ধান্তকে বাংলাদেশ ইতিবাচক বলে মনে করে। বিশেষজ্ঞ এবং বিশ্লেষকগণ মনে করেন, এতো সব চাপ সত্তে¡ও মিয়ানমার রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে কার্যকরভাবে কতোটা ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে সে সন্দেহ থেকেই যাচ্ছে। এসব বিষয় নিয়ে বিশ্লেষণ করেছেন শরণার্থী এবং অভিবাসন বিষয়ক বিশ্লেষক এবং অভিবাসন সংস্থা আইওএমএর প্রাক্তন কর্মকর্তা আসিফ মুনীর।
ঢাকা সংবাদদাতা আমীর খসরুর প্রতিবেদন।