অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

ভারত থেকে করোনার ভ্যাকসিন এখনও আসেনি : ভ্যাকসিন প্রদান কার্যক্রম তীব্র অনিশ্চয়তায়


ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট থেকে করোনার অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিনের পরবর্তী চালান পাওয়া নিয়ে দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা। মার্চের শেষ দিকে ভারত নিজ দেশে করোনা সংক্রমণের হার বৃদ্ধি পাওয়ার কথা জানিয়ে বিদেশে অ্যাস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিন রফতানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। ঢাকায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, বর্তমানে দৈনিক আড়াই লাখ ভ্যাকসিনের প্রয়োজনের পরিপ্রেক্ষিতে আগামী সপ্তাহ দুয়েক পরেই বাংলাদেশে ভ্যাকসিনের মজুদ শেষ হয়ে যাবে। এমন পরিস্থিতিতে ভ্যাকসিন প্রদান কার্যক্রম অব্যহত রাখা তীব্র অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে। বাংলাদেশ মূলত: অ্যাস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিনের ওপরই নির্ভরশীল।

গত নভেম্বরে প্রতি মাসে ৫০ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন পাওয়ার শর্তে বাংলাদেশ সিরাম ইনস্টিটিউটের কাছ থেকে ৩ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন কেনার চুক্তি করে। তবে এ পর্যন্ত পাওয়া গেছে, দুই চালানে ৭০ লাখ ডোজ। সিরাম ইনস্টিটিউটের অ্যাস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিনের বাংলাদেশের আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান বেক্সিমকো ফার্মার ব্যবস্থাপনা পরিচালক সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন, ভারত সরকারের কাছ থেকে ছাড়পত্র না পাওয়ায় বাংলাদেশ এখনো ভ্যাকসিন পাচ্ছে না। কবে নাগাদ ভ্যাকসিন পাওয়া যাবে, তাও স্পষ্ট নয়।


এদিকে, এই দফার লকডাউনের তৃতীয় দিনে শুক্রবার রাস্তাঘাটে যানবাহন চলাচল এবং জনসমাগম তেমন একটা ছিল না। শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটি থাকায় অফিস-আদালত ছিল বন্ধ। তবে কাঁচাবাজার এবং মসজিদে জুম্মার নামাজের জন্য ছিল প্রচন্ড ভিড়। কেউই স্বাস্থ্য বিধির তেমন কোনো তোয়াক্কা করেননি।



দক্ষিণ কোরিয়ায় আবারও বাংলাদেশী নাগরিকদের সে দেশে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। আর লকডাউন থাকার কারণে ভারত, যুক্তরাজ্যসহ কয়েকটি দেশ বাংলাদেশে তাদের ভিসা প্রদান কার্যক্রম সাময়িকভাবে স্থগিত করেছে।
গত ২৪ ঘন্টায় করোনায় ১০১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই সংখ্যা ২৪ ঘন্টায় দেশের সর্বোচ্চ। নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছেন ৪,৪১৭ জন।

XS
SM
MD
LG