অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

দুই কারণে নুসরাতকে হত্যা করা হয়


ফেনীর মাদ্রাসা শিক্ষার্থী নুসরাত জাহান রাফিকে হত্যার পরিকল্পনা হয় কারাগারে। আর এই পরিকল্পনা করেন মাদ্রাসাটির অধ্যক্ষ সিরাজ-উদ-দৌলা।

ফেনীর মাদ্রাসা শিক্ষার্থী নুসরাত জাহান রাফিকে হত্যার পরিকল্পনা হয় কারাগারে। আর এই পরিকল্পনা করেন মাদ্রাসাটির অধ্যক্ষ সিরাজ-উদ-দৌলা। নুসরাতের দায়ের করা এক শ্লীলতাহানির মামলায় সিরাজ-উদ-দৌলাকে পুলিশ আগেই গ্রেপ্তার করেছিল। এই গ্রেপ্তারকে কেন্দ্র করে হিংস্র হয়ে ওঠে প্রশাসনের একটি অংশ। স্থানীয় রাজনৈতিক নেতারাও সিরাজকে মুক্ত করার মিশনে নামেন।

কিভাবে নুসরাতকে হত্যা করা হয় তার একটি দালিলিক প্রমাণ হাজির করেছেন পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের কর্মকর্তারা। এক সংবাদ সম্মেলনে ডিআইজি বনোজ কুমার মজুমদার বলেন, দুটি কারণে নুসরাতকে হত্যা করা হয়। আলেম সমাজকে হেয় করা, আসামি শাহাদাত হোসেন শামীমের প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়া। মামলা তুলে নেয়ার জন্যও নুসরাতের গোটা পরিবারের ওপর চাপ সৃষ্টি করা হয়। কিন্তু নুসরাত ছিলেন অনঢ়। কোন অবস্থাতেই মামলা প্রত্যাহার করা হবে না। এরপরই কারাগারে হত্যার চূড়ান্ত পরিকল্পনা গ্রহণ করেন অধ্যক্ষ সিরাজ। ৪ঠা এপ্রিল কারাগারে নূর উদ্দিন ও শাহাদাতসহ পাঁচজন অধ্যক্ষ সিরাজের সঙ্গে সাক্ষাত করতে যায়। সে সময় সিরাজ কিছু একটা করার পরামর্শ দেন। সিদ্ধান্ত হয় নুসরাতকে পুড়িয়ে মারা হবে।

এই মামলায় ১৩ জন আসামি। এর মধ্যে ৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আসামি যেই হোক কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। এই হত্যাকা- নিয়ে দেশব্যাপী ব্যাপক প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে। ঢাকা থেকে মতিউর রহমান চৌধুরী

XS
SM
MD
LG