করোনা মহামারির কারণে এবছর উৎসব না করে স্কুলে স্কুলে বিনামূল্যের বই বিতরণ শুরু হয়েছে। রাজধানীসহ বাংলাদেশের স্কুলগুলোতে শ্রেণিভিত্তিক বই বিতরণ করা হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ৩০ ডিসেম্বর বই বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। ওই দিন বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলনকেন্দ্রে প্রধানমন্ত্রী ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে কার্যক্রমের উদ্বোধনের পর তার পক্ষে শিক্ষামন্ত্রী এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন কয়েকজন শিক্ষার্থীর হাতে নতুন বই তুলে দেন।
নতুন বছরের প্রথম দিন শনিবার রাজধানীর বিভিন্ন স্কুলে শ্রেণিভিত্তিক বই বিতরণ করা হচ্ছে। তবে মহামারির কারণে সব শিক্ষার্থীকে একই দিনে বই দেওয়া হচ্ছে না।
রাজধানীর মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, মুসলিম গভমেন্ট স্কুল, কামরুন নিসা স্কুলে শিক্ষার্থীদের শ্রেণিভিত্তিক বই বিতরণ কার্যক্রম চলছে। ঢাকার বাইরেও চলছে বই বিতরণ কার্যক্রম। বিভিন্ন স্কুলে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, পর্যায়ক্রমে সপ্তাহব্যাপী বিভিন্ন শ্রেণির বই বিতরণ করা হবে।
জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্য পুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) জানায়, ২০২২ শিক্ষাবর্ষের জন্য মোট ৩৪ কোটি ৭০ লাখ ২২ হাজার ১৩০ কপি পাঠ্যবই ছাপা হচ্ছে। করোনা সংকটের মধ্যেও বই ছাপানো ও বিতরণে সফলতা দেখিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। কঠোর নজরদারির কারণে এবার ছাপা ও গুণগত মানে বিনামূল্যের পাঠ্যবই গত দু'বারের চেয়ে ভালো হয়েছে বলে দাবি করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
পাঠ্যবই মূদ্রণ ও বাইডিংসহ গুণগত মান ভালো হওয়ায় ছাপাখানা পরিদর্শনের পর শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি পাঠ্যবইয়ের মান নিয়ে সন্তোষও প্রকাশ করেছেন।
এদিকে নির্ধারিত সময়ের আগেই প্রাথমিকের সব বই উপজেলা পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। মাধ্যমিকেরও প্রায় সব বই উপজেলা পর্যায় ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পৌঁছে গেছে।
এনসিটিবির বিতরণ নিয়ন্ত্রক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো. সাইদুর রহমান বলেন, "শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি কার্যক্রম চলবে পুরো জানুয়ারি মাস জুড়ে। আর পাঠদান শুরু হবে ১ ফেব্রুয়ারি। তার ২০ দিন আগেই মাধ্যমিকের সব বই পৌঁছে যাবে।"