চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত, মোট ৯ মাসে চলন্ত ট্রেনে ১১০টি ঢিল ছোড়ার ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনার বেশির ভাগ রেলওয়ে পশ্চিম অঞ্চলে ঘটেছে। ‘চলন্ত ট্রেনে পাথর নিক্ষেপ বন্ধে রেলওয়ের নেয়া ব্যবস্থা এবং রেলওয়ের চলমান উন্নয়ন কর্মকাণ্ড নিয়ে’ রবিবার দুপুরে রেলভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান রেলমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন।
এসময় মন্ত্রী লিখিত বক্তব্যে আরো বলেন, "১১০ ঢিলের ঘটনায় ২৯ জন ট্রেনযাত্রী আহত হয়েছেন। ট্রেনের জালানার গ্লাস ভেঙেছে ১০৩টি। আমরা চলন্ত ট্রেনে এধরণের ঘটনা থেকে মুক্তিচাই। এজন্য তিনি সম্মিলতভাবে কাজ করতে সকালকে সাথে চান।"
ঢিল ছোড়ার ঝুকিপূর্ণ স্থানগুলো হচ্ছে রেলওয়ে পশ্চিমাঞ্চলের সিরাজগঞ্জ জেলার সলপ রেলওয়ে স্টেশন, বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম রেলওয়ে স্টেশন, সিরারগঞ্জের উল্লাপাড়া রেলওয়ে স্টেশন, সিরাজগঞ্জের শহীদ এস মনসুর আলী রেলওয়ে স্টেশন, নাটোরের আব্দুলপুর রেলওয়ে স্টেশন, গাইবান্ধার বামনডাঙ্গা রেলওয়ে স্টেশন, পঞ্চগড়ের কিসমত, ঠাকুরগাঁওয়ের রুহিয়া, বগুড়ার ভেলুরপাড়া রেলওয়ে স্টেশন, পাবনার মুলাডুলি রেলওয়ে স্টেশন, পাবনার ভাঙ্গুরা রেলওয়ে স্টেশন, পাবনার বড়ালব্রিজ রেলওয়ে স্টেশন, জামতৈল রেলওয়ে স্টেশন, জয়পুরহাটেরর আক্কেলপুর রেলওয়ে স্টেশন, খুলনার ফুলতলা রেলওয়ে স্টেশন এবং চুয়াডাঙ্গা আউটার এলাকা।
এছাড়ও রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলো হলো, ফেনীর ফাজিলপুর-কালীদহ, নরসিংদী, জিনারদী ও ঘোড়াশাল, চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড-বাড়ককুণ্ড ও পাহাড়তলী এলাকা।
সংবাদ সম্মেলনে রেলমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন আরো বলেন, "ইতোমধ্যেই এসব এলাকায় ঢিলছোড়া রোধে বিভিন্ন ধরণের পদক্ষেপ হাতে নেয়া হয়েছে।"