কক্সবাজারের বিভিন্ন ক্যাম্পে দীর্ঘদিন থেকে অবস্থানরত #রোহিঙ্গাদেরকে স্থানান্তর প্রক্রিয়ায় কেন জাতিসংঘকে রাখা হয়নি এ নিয়ে বিতর্ক চলছে। জাতিসংঘসহ মানবাধিকার সংগঠনগুলো আগাগোড়াই বলে আসছে, অনেকটা জোর করেই রোহিঙ্গাদেরকে স্থানান্তর করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ অস্বীকার করেছে বরাবরই। যদিও সরকারিভাবে এর কোনো কারণ ব্যাখ্যা করা হয়নি কখনো। তবে পররাষ্ট্র বিষয়ক সংসদীয় কমিটির এক বৈঠকে এর উত্তর পাওয়া গেছে। বলা হয়েছে, জাতিসংঘের অব্যাহত নেতিবাচক প্রচারণা, অনড় অবস্থান এবং বেহুদা কিছু শর্তের কারণেই সংস্থাটিকে সম্পৃক্ত করা হয়নি।
বৈঠকে পরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বাংলাদেশ সরকারের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় এক হাজার ৬৪২ জন রোহিঙ্গাকে খাদ্য ও আবাসনসহ অন্যান্য সুবাদাদি দেয়া হচ্ছে। বৈঠকে সংসদীয় কমিটির সভাপতি ফারুক খান জাতিসংঘকে কেন সম্পৃক্ত করা হয়নি এর বিস্তারিত কারণ তুলে ধরেন। বলেন, সাগরে ভেসে থাকা ৩০৬ জন রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে প্রথম নেয়ার পরেই গোলমাল সৃষ্টি হয়। পরিবার থেকে বিচ্ছিন হওয়ায় তারা নানা প্রশ্ন তুলে। অথচ অনেক বড় স্বপ্ন নিয়ে তারা মালয়েশিয়া যাচ্ছিল। স্বপ্নভঙ্গ হওয়ায় তারা ভাসানচরে যাওয়ার ব্যপারে বিরোধিতা করে।
বৈঠকে বলা হয়, আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর অভিযোগ সত্যি নয়। কাউকে ইচ্ছার বিরদ্ধে স্থানান্তর করা হচ্ছে না। বলা হয়েছে, উল্লেখিত ৩০৬ জন রোহিঙ্গা যখন সাগরে ভাসছিল তখন কেউই এগিয়ে আসেনি। শুধুমাত্র উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। এখন তারা নানা যুক্তি দেখাচ্ছে। ২২টি এনজিও ইতিমধ্যেই মানবিক সহায়তা দানের বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেছে বলে বৈঠকে উল্লেখ করা হয়।
ওদিকে করোনায় আক্রান্ত হয়ে আরও ২৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্ত হয়েছেন দুই হাজার ১৫৯ জন। সাবেক মন্ত্রী ও বিএনপি নেতা চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ বুধবার দুপুরে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। ঢাকা থেকে মতিউর রহমান চৌধুরী