অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

শাবিপ্রবিতে অনশনে অসুস্থ শিক্ষার্থী হাসপাতালে


সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিনের পদত্যাগ দাবিতে এবার আমরণ অনশনে ২৪ জন শিক্ষার্থী।
সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিনের পদত্যাগ দাবিতে এবার আমরণ অনশনে ২৪ জন শিক্ষার্থী।

উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) আমরণ অনশনরত এক শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টায় তার শরীর নিস্তেজ হয়ে যাওয়ায় তাকে অ্যাম্বুলেন্সে করে সিলেটের একটি হাসপাতালে নেয়া হয়। অসুস্থ শিক্ষার্থীর নাম কাজল দাশ।

এর আগে শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশি হামলার প্রতিবাদে উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের পদত্যাগের দাবিতে বুধবার ৩টা থেকে আমরণ অনশন শুরু করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৪ শিক্ষার্থী।

অনশনকারী শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, তারা পানি ও কোনো ধরনের খাদ্য গ্রহণ করছেন না। যার ফলে অনেকেই নিস্তেজ হয়ে যাচ্ছেন। তবে উপাচার্যের পদত্যাগ না করা পর্যন্ত কেউ অনশন ভাঙবেন না। বুধবার বিকেল ৩টা থেকে বৃহস্পতিবার দুপুর ১টা পর্যন্ত ২২ ঘণ্টার মত চলছে অনশন। শিক্ষার্থীরা জানান, ভিসির পদত্যাগ হওয়া পর্যন্ত তারা অনশন চালিয়ে যাবেন।

এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের বাস ভবনের সামনে অনশনের পাশাপাশি বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করছে।

এদিকে শিক্ষার্থীদের অনশন ভাঙাতে বুধবার রাত পৌনে ৯টায় প্রায় দুই শতাধিকের বেশি শিক্ষকের একটি প্রতিনিধি দল কর্মসূচিস্থলে উপস্থিত হন।

এ বিষয়ে অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, "আমরা এসেছিলাম আমাদের শিক্ষার্থীদের অনশন ভাঙাতে। তাদের কাছে সে সময়টুকু চেয়েছি যেন এ ঘটনার পেছনে কারা জড়িত সেটা খুঁজে বের করতে পারি।"

তিনি আরও বলেন, "শিক্ষার্থীরা বলছে উপাচার্যের নির্দেশে হামলা হয়েছে। তদন্তে যে দোষী হবে সে দায় নেবে। আমরা চাই উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত হোক। সরকার ও সিলেটের নেতৃবৃন্দ এখানে সম্পৃক্ত। যার নির্দেশে হামলা হয়েছে সেখানে উপাচার্যসহ যেই জড়িত থাকুক তাকে দায় নিতে হবে। কিন্তু শিক্ষার্থীরা আমাদের ওই সুযোগটা দেয়নি।"

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পরবর্তী পদক্ষেপ জানতে চাইলে তিনি বলেন, "আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাদের বুঝাতে আবার চেষ্টা করব। তা না হলে সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত নেব।"

XS
SM
MD
LG