চট্টগ্রামে নির্মাণাধীন পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনাল (পিসিটি) চলতি বছরের জুনে চালু হবে এবং টার্মিনালটি চালু হলে বছরে ১৪৫ মিলিয়ন টিইইউএস কনটেইনার হ্যান্ডলিং করা সম্ভব হবে।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এম শাহজাহান বলেন, “করোনা মহামারির সংকটময় সময়ের মধ্যেও চট্টগ্রাম বন্দর শতভাগ কাজ চালিয়ে গেছে। আমাদের অনেক কর্মকর্তা–কর্মচারী করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। তারপরও নানা প্রতিকূলতার মধ্যে শতভাগ কাজ চালিয়ে যেতে বন্দর বদ্ধপরিকর।”
রবিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে চট্টগ্রাম বন্দর ভবনের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশে নিযুক্ত ইওরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত এইচ ই চার্লস স্টুয়ার্ড হুইটলে ও ইতালির রাষ্ট্রদূত এইচ ই এনরিকো নানজিয়াটা এবং বিজিএমইএ নেতাদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
এম শাহজাহান জানান, বর্তমানে বন্দরে ৫০ হাজার টিইইউএস কনটেইনার রাখার ধারণক্ষমতা আছে। তবে এখন ৩৯ হাজার টিইইউএস কনটেইনার রয়েছে। অর্থাৎ বন্দরে এখন কোনো কনটেইনার জট নেই।
তিনি বলেন, “বে-টার্মিনাল ও পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনাল চালু হলে বন্দরের কনটেইনার রাখার ধারণক্ষমতার পাশাপাশি কাজের সক্ষমতা আরও বাড়বে।”
সভায় ইতালির রাষ্ট্রদূত এইচ ই এনরিকো নানজিয়াটা বলেন, “বাংলাদেশে ব্যবসা-বাণিজ্যের অপার সম্ভাবনা রয়েছে। ইওরোপে বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের জনপ্রিয়তা রয়েছে। চট্টগ্রাম-ইতালি রুটে জাহাজ চালু হয়েছে, এটা দুই দেশেরই বাণিজ্যিক প্রসারতার বড় সুযোগ। আমি মনে করি বাণিজ্যের পাশাপাশি দুই দেশের সুসম্পর্ক আরও জোরদার হবে।”
ইইউর রাষ্ট্রদূত এইচ ই চার্লস স্টুয়ার্ড হুইটলে বলেন, “প্রথমবারের মতো চট্টগ্রাম-ইতালি রুটে পোশাক পণ্য নিয়ে জাহাজ চলাচল করবে। এর মাধ্যমে একটি সুষ্ঠু বাণিজ্যিক পরিবেশ তৈরি হবে বলে আমি মনে করি।”
তিনি বলেন, “বাংলাদেশের পোশাক খাতের প্রশংসা রয়েছে। করোনার কারণে আমরা সবাই ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছি, পোশাক খাতে আমদানি ও রপ্তানিকারক সকলেই ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।”
বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, “পোশাক খাতের অগ্রগতিতে বিজিএমইএ নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। কাজের মান, নকশাসহ বিভিন্ন কারণে আমাদের তৈরি পোশাকের চাহিদা রয়েছে। এটি ধরে রাখতেই আমরা কাজ করে যাচ্ছি। দেশীয় জিডিপি বৃদ্ধিতে গার্মেন্টস সেক্টর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।”