অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

নির্বাচন কমিশনঃ রাষ্ট্রপতির হাতে ১০জনের নামের তালিকা


বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন লোগো
বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন লোগো

বাংলাদেশে নতুন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ দিতে সার্চ কমিটি দশজনের নামের তালিকা রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের কাছে জমা দিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সার্চ কমিটির পাঁচ সদস্য বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করে নামের তালিকা জমা দেন।

নাম জমা দেওয়া শেষে বঙ্গভবন থেকে বেরিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, সার্চ কমিটি তাদের রিপোর্ট মহামান্য রাষ্ট্রপতির কাছে জমা দিয়েছেন। তিনি সেটা গ্রহণ করেছেন। "সেটা একটু এক্সামিন (যাচাইি বাছাই) করবেন রাষ্ট্রপতি। এক্সামিন শেষে দ্রুত উনি নির্দেশনা দিবেন।"

মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, দুই-একদিনের মধ্যে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সেটা নোটিফিকেশন করে ফেলা হবে।

আজকেই (বৃহস্পতিবার) হবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, “না। মহামান্য রাষ্ট্রপতি বলেছেন, উনি দেখে কুইকলি এটা করে দিবেন। তিনি যেভাবে নির্দেশনা দিবেন। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নোটিফিকেশন দেওয়া হবে।”

দশজন নাকি পাঁচজনের নাম ঘোষণা হবে এমন প্রশ্নের জবাবে আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, নিয়ম তো পাঁচজনের নাম ঘোষণার। যে পাঁচজনের নাম রাষ্ট্রপতি সিলেক্ট করবেন সেই পাঁচজনের নামেই প্রজ্ঞাপন জারি হবে।

এদিন সার্চ কমিটির প্রধান হিসেবে দায়িত্বপালনরত বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বঙ্গভবনে যাননি।

সার্চ কমিটির প্রধান আসেননি কেন জানতে চাইলে তিনি উপস্থিত সংবাদকর্মীদের সচিব বলেন, "তিনি অসুস্থ হয়েছেন। তাই আসেননি।"

উল্লেখ্য, গত ১৪ ফেব্রুয়ারি মেয়াদ শেষ হয় নুরুল হুদা কমিশনের। আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে নতুন নির্বাচন কমিশনের অধীনে। এই কমিশন গঠন নিয়ে ইতিমধ্যে রাজনৈতিক দলসমূহ ছাড়াও পুরো দেশেই আগ্রহ তৈরি হয়েছে। নির্বাচন কমিশন গঠনের লক্ষ্যে গঠিত সার্চ কমিটির সংলাপে অংশ নেয়নি বিএনপিসহ আরও কয়েকটি দল।

গত সপ্তাহে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ প্রসঙ্গে বলেন “২০১৪ ও ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচন এবং স্থানীয় সরকার নির্বাচনের মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে যে আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন সম্ভব না। তাই বিএনপি মনে করে সার্চ কমিটিতে নাম পাঠানো এবং নির্বাচন কমিশন গঠন সম্পূর্ণ অর্থহীন।”

এর আগে নির্বাচন কমিশন গঠনে গত ৫ ফেব্রুয়ারি বিচারপতি ওবায়দুল হাসানকে প্রধান করে ছয় সদস্যের অনুসন্ধান কমিটি গঠন করেন রাষ্ট্রপতি। অনুসন্ধান কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামান, সরকারি কর্মকমিশনের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মো. সোহরাব হোসাইন, বাংলাদেশের মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক (সিএজি) মো. মুসলিম চৌধুরী, সাবেক নির্বাচন কমিশনার মুহাম্মদ ছহুল হোসাইন, চিকিৎসক ও সাহিত্যিক অধ্যাপক আনোয়ারা সৈয়দ হক।

নির্বাচন কমিশন গঠনে প্রথমবারের মতো ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য কমিশনার নিয়োগ আইন, ২০২২’ পাশ হয়েছে। এই আইনে মূলত অতীতের দুই মেয়াদের মতোই সার্চ কমিটির দ্বারা কমিশন গঠনের কথাই বলা হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, রাষ্ট্রপতি এই কমিশন গঠন করবেন। যদিও সংবিধানে বলা আছে-

“কেবল প্রধানমন্ত্রী ও প্রধান বিচারপতি নিয়োগের ক্ষেত্র ছাড়া রাষ্ট্রপতি অন্য সব দায়িত্ব পালনে প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ অনুযায়ী কাজ করবেন।”

XS
SM
MD
LG