অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

রোহিঙ্গা শরণার্খীদের জন্য জন্মনিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা নেবে বাংলাদেশ সরকার—স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান


কক্সবাজারের উখিয়ায় একটি রোহিঙ্গা শরনার্থী শিবির। ফাইল ছবি।
কক্সবাজারের উখিয়ায় একটি রোহিঙ্গা শরনার্থী শিবির। ফাইল ছবি।

মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মধ্যে উদ্বেগজনক হারে জনসংখ্যা বৃদ্ধি রোধে বাংলাদেশ সরকার রোহিঙ্গাদের জন্য জন্মনিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা নেবে। এ তথ্য জানিয়েছেন বাংলাদেশ সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

রবিবার (১০ এপ্রিল) বাংলাদেশ সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিকদের সমন্বয়, ব্যবস্থাপনা ও আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত জাতীয় কমিটির চতুর্থ সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

আসাদুজ্জামান খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই সভায় দুর্যোগ ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. এনামুর রহমানও উপস্থিত ছিলেন।

রোহিঙ্গারা যেন বাংলাদেশি পাসপোর্ট না পায় সে জন্য সভায় ইউএনএইচসিআর ডেটাবেস ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

আসাদুজ্জামান খান বলেন, “রোহিঙ্গা ক্যাম্পে জন্মহার উদ্বেগজনকভাবে বেশি। সেখানে প্রতি বছর প্রায় ৩৫ হাজার শিশুর জন্ম হয়। এটি নিয়ন্ত্রণে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও ইসলামিক ফাউন্ডেশনকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হবে”।

তিনি বলেন, “সভায় কক্সবাজারের টেকনাফ ও উখিয়া উপজেলায় এবং নোয়াখালীর ভাসানচরের রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ভেতরে যৌথ টহল বাড়ানোর সুপারিশ করা হয়েছে।
দ্বীপ থেকে রোহিঙ্গাদের যেকোনো সম্ভাব্য পলায়ন পর্যবেক্ষণে উপকূলীয় এলাকায় নৌ-টহল কার্যক্রম আরও জোরদার করা হবে। গোয়েন্দা নজরদারি চলছে এবং তা আরও বাড়ানো হবে”।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ভেতরে পুলিশ, এপিবিএন, আনসার ও র‌্যাবের যৌথ টহল জোরদার করা হবে।

ক্যাম্পের বাইরে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, বিজিবি, র‌্যাব ও পুলিশ যৌথভাবে টহল দিচ্ছে। প্রয়োজনে সেনাবাহিনী অন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে যৌথ অভিযান চালাবে।

রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ভেতরে থাকা অবৈধ দোকান উচ্ছেদ করা হচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

আসাদুজ্জামান খান আরও বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পের চারপাশে কাঁটাতারের বেড়া ও টহল সড়ক নির্মাণ করা হচ্ছে। কাঁটাতারের বেড়ার কাজ প্রায় ৮০ শতাংশ শেষ। কোনো রোহিঙ্গা যাতে ক্যাম্প ছেড়ে পালিয়ে যেতে না পারে সে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

বর্তমানে শিশু ও বয়স্কদের একই রেশন দেয়া হচ্ছে। বয়স অনুযায়ী রেশন দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে বলে জানান আসাদুজ্জামান খান।

XS
SM
MD
LG