বাংলাদেশের চীনের “ঋণের ফাঁদে” পড়ার কোনো সুযোগ নেই উল্লেখ করে বাংলাদেশ সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল) আবারও বলেছেন, অর্থনীতিবিদদের যারা এই ধরনের কথা বলছেন তারা হয়তো কাউকে খুশি করতে চান।
তিনি বলেন, “বাংলাদেশ জাপান থেকে সবচেয়ে বেশি ঋণ নিয়েছে। তবে চীনের ঋণ নিয়ে তাদের একমাত্র মাথাব্যথা। কিন্তু জাপানের কথা কেউ বলে না”।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “ঋণ নেওয়ার সময় আমরা খুব সতর্ক থাকি। ঋণের ফাঁদে পড়ার কোনো সুযোগ নেই”।
আব্দুল মোমেন বলেন, “প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিটি দিক সঠিকভাবে যাচাই-বাছাই করে সিদ্ধান্ত নেন এবং কোনোভাবেই শ্রীলঙ্কার সঙ্গে বাংলাদেশের তুলনা করা উচিত নয়”।
তিনি বলেন, “আমরা জানি না, তবে মাঝে মাঝে আমরা আপনাদের কাছ থেকে শুনি, আপনারা লেখেন যে, বাংলাদেশ নাকি চীনের ঋণের ফাঁদে পড়ে যাচ্ছে। পড়ে দেখি যে আপনারা সম্পূর্ণ অলীক কথা লেখেন”।
বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত বিদেশি ঋণ খুব ভালোভাবে পরিচালনা করছে তবে শ্রীলঙ্কার অর্থনৈতিক সংকটের কারণে জনসাধারণের মধ্যে অনেক আলোচনা রয়েছে।
এর আগে ফেব্রুয়ারিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছিলেন, “বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান অবকাঠামোর প্রয়োজনের মধ্যে চীন আকর্ষণীয় ও সাশ্রয়ী মূল্যের প্রস্তাবের সঙ্গে অর্থের ঝুড়ি নিয়ে এগিয়ে এসেছে”।