অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্টের মৃত্যুতে শনিবার বাংলাদেশে রাষ্ট্রীয় শোক দিবস


আমিরাত বার্তা সংস্থার এই ছবিতে শেখ খলিফা বিন জায়েদ আল নাহিয়ানের প্রতি শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন আবু ধাবির যুবরাজ শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান ( ফাইল ছবি, এপি)
আমিরাত বার্তা সংস্থার এই ছবিতে শেখ খলিফা বিন জায়েদ আল নাহিয়ানের প্রতি শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন আবু ধাবির যুবরাজ শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান ( ফাইল ছবি, এপি)

বাংলাদেশ সরকার আজ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে যে সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট শেখ খলিফা বিন জায়েদ আল নাহিয়ানের মৃত্যুতে শনিবার ১৪ই মে রাষ্ট্রীয় ভাবে একদিনের শোক পালন করা হবে। সে দিন বাংলাদেশে সকল সরকারি , আধা-সরকারি ও স্বায়ত্ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ সকল বেসরকারি ভবন এবং বিদেশে বাংলাদেশের মিশনগুলোতে জাতীয় পতাকা অর্ধ-নমিত রাখা হবে। সে দিন শেখ খলিফা বিন জায়েদ আল নাহিয়ানের রুহের মাগফেরাতের জন্য বাংলাদেশের সব মসজিদে বিশেষ দোয়া করা হবে। তা ছাড়া অন্যান্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে তাঁর আত্মার শান্তির জন্য প্রার্থনার আয়েজন করা হবে।

সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) শাসক, শেখ খলিফা বিন জায়েদ আল নাহিয়ান শুক্রবার মারা গেছেন। এক সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে তার মৃত্যুর সংবাদ ঘোষণা করেছে দেশটির সরকার। তিনি দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থতায় ভুগছিলেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৩ বছর।

খলিফা ইউএই’র প্রেসিডেন্ট ছিলেন। দেশটির দুর্দান্ত অর্থনৈতিক উন্নয়নের তত্ত্বাবধান করেছেন তিনি। তার নাম বিশ্বের সর্বোচ্চ ভবন, বুর্জ খলিফার মাধ্যমে স্মরণীয় করে রাখা হয়েছে। এক দশকেরও বেশি সময় আগে, অর্থনৈতিক সংকটে ঋণ জর্জরিত দু্বাইকে আর্থিক সহায়তা দিয়ে উদ্ধার করেছিলেন খলিফা।

ইউএই’র প্রেসিডেন্সিয়াল অ্যাফেয়ার্স মন্ত্রক ৪০ দিনব্যাপী শোক পালনের এবং সরকারী ও বেসরকারী কাজের ক্ষেত্রে তিনদিনের ছুটির ঘোষণা দিয়েছে। এই সময়ে পতাকা অর্ধনমিত রাখা হবে। আশপাশের অঞ্চল এবং সারা বিশ্ব থেকে শোকবার্তা পাঠানো হয়েছে। প্রথমেই পাঠিয়েছেন আবুধাবি সমর্থিত আরব দেশগুলোর নেতারা।

শেখ খলিফা অনেকদিন আগেই দেশ শাসনের প্রাত্যহিক কাজ থেকে নিজেকে গুটিয়ে ফেলেন। প্রেসিডেন্ট হওয়ার এক দশক পর, ২০১৪ সালে একটি স্ট্রোকের শিকার হলে এবং একটি জরুরি অস্ত্রোপচারের পর তিনি নিজেকে কাজ থেকে সরিয়ে নেন।

তার সৎভাই, আবুধাবির যুবরাজ মোহাম্মদ বিন জায়েদকে কার্যতভাবে দেশটির শক্তিশালী শাসক হিসেবে দেখা হত। তিনি দেশটির প্রধান পররাষ্ট্র নীতিগুলোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত দিতেন বলেও ধারণা করা হয়। এর মধ্যে সাম্প্রতিক সময়ে সৌদি আরবের নেতৃত্বে ইয়েমেনে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করা এবং পার্শ্ববর্তী কাতারের উপর নিষেধাজ্ঞা জারির মত সিদ্ধান্তগুলো রয়েছে।

শেখ খলিফার উত্তরসূরি বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কোন ঘোষণা দেওয়া হয়নি। যদিও অনুমান করা হচ্ছে যে, যুবরাজ হিসেবে মোহাম্মদ বিন জায়েদই প্রেসিডেন্টের পদের দাবিদার হবেন।

শেখ খলিফার বাবা, শেখ জায়েদ বিন সুলতান আল নাহিয়ানকে দেশটির বেশিরভাগ মানুষই জাতির পিতার মর্যাদা দেন। ১৯৭১ সালে দেশটির জন্ম হয় এবং সাম্প্রতিক সময়ে সেটির ৫০তম বর্ষপূর্তি পালন করা হয়। শেখ খলিফা তার বড় ছেলে ছিলেন। তিনি ইংল্যান্ডের স্যান্ডহার্স্ট রয়েল মিলিটারি একাডেমিতে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত।

XS
SM
MD
LG