অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

কুষ্টিয়ায় কলেজ শিক্ষকের কব্জি বিছিন্ন ও হত্যা চেষ্টার অভিযোগে গ্রেপ্তার ৭


গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন, মোশারফ হোসেন মশা (২৬), নাজিম উদ্দিন (২৭), সামাদ (২৭), মুহাইমেন হোসেন (২৭), হালিম (৪০), পলাশ (২৩) ও মুকুল (৪২)
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন, মোশারফ হোসেন মশা (২৬), নাজিম উদ্দিন (২৭), সামাদ (২৭), মুহাইমেন হোসেন (২৭), হালিম (৪০), পলাশ (২৩) ও মুকুল (৪২)

বাংলাদেশের কুষ্টিয়ায়, কলেজ শিক্ষক তোফাজ্জেল হোসেনের ডান হাতের কব্জি বিছিন্ন ও হত্যা চেষ্টা মামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে, সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শুক্রবার (৩ জুন) রাতে জেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে র‍্যাব।

এই সময় তাদের কাছ থেকে তিন রাউন্ড গুলি, ম্যাগজিনসহ বিদেশি পিস্তল উদ্ধার করা হয়।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন, মোশারফ হোসেন মশা (২৬), নাজিম উদ্দিন (২৭), সামাদ (২৭), মুহাইমেন হোসেন (২৭), হালিম (৪০), পলাশ (২৩) ও মুকুল (৪২)।

শনিবার (৪ জুন) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাব-১২, সিপিসি-১, কুষ্টিয়া ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার স্কোয়াড্রন লিডার মোহাম্মদ ইলিয়াস খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, “কলেজ শিক্ষক তোফাজ্জেল হোসেন কুমারখালী বাঁশগ্রাম কলেজের অর্থনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক। তিনি কুমারখালী বাগুলাট ইউনিয়নের শালঘর মধুয়া এলাকার জালাল বিশ্বাসের ছেলে। দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় আধিপত্যকে কেন্দ্র দু‘পক্ষের মধ্যে দ্বন্দ্বের জেরে এই ঘটনা ঘটেছে।”

উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার (৩১ মে) দুপুর ২টার দিকে, কুষ্টিয়ার সদরের জিয়ারখী ইউনিয়নের বংশীতলা নতুন ব্রিজের ওপর, স্থানীয় আধিপত্যকে কেন্দ্র করে প্রকাশ্যে কলেজ শিক্ষক তোফাজ্জেল বিশ্বাসের ডান হাতের কব্জি বিচ্ছিন্ন ও হত্যার চেষ্টা করে প্রতিপক্ষের লোকজন। এ ঘটনায় বুধবার (১ জুন) কুষ্টিয়া মডেল থানায়, ওই শিক্ষকের ছেলে নাজমুস সাকিব ২৬ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ছয় জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। গুরুতর আহত কলেজ শিক্ষক বর্তমানে ঢাকায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা ও র‍্যাব

উল্লেখ্য, গত বছরের ১০ ডিসেম্বর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে র‍্যাবের সাবেক ও বর্তমান সাত কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির ট্রেজারি ডিপার্টমেন্ট ও পররাষ্ট্র দপ্তর পৃথকভাবে এই নিষেধাজ্ঞা দেয়। এই কর্মকর্তাদের মধ্যে র‍্যাবের সাবেক মহাপরিচালক এবং বাংলাদেশ পুলিশের বর্তমান আইজিপি বেনজীর আহমেদও রয়েছেন। এ ছাড়া র‍্যাবের বর্তমান মহাপরিচালক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশনস) খান মোহাম্মদ আজাদ, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশনস) তোফায়েল মোস্তাফা সরোয়ার, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশনস) মো. জাহাঙ্গীর আলম ও সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশনস) মো. আনোয়ার লতিফ খানের ওপরও নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি ডিপার্টমেন্ট। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর পৃথক এক ঘোষণায় বেনজীর আহমেদ এবং র‍্যাব ৭–এর সাবেক অধিনায়ক মিফতাহ উদ্দীন আহমেদের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি বিভাগের প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব), মাদক দ্রব্যের বিরুদ্ধে সরকারের লড়াইয়ে গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য অভিযুক্ত। এতে বলা হয়েছে যে, তারা আইনের শাসন, মানবাধিকারের মর্যাদা ও মৌলিক স্বাধীনতা এবং বাংলাদেশের জনগণের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধিকে ক্ষুণ্ন করে। এটি যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা স্বার্থের বিরুদ্ধে হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। র‍্যাব হচ্ছে ২০০৪ সালে গঠিত একটি সম্মিলিত টাস্ক ফোর্স। তাদের কাজের মধ্যে রয়েছে অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, অপরাধীদের কর্মকান্ড সম্পর্কে গোপন তথ্য সংগ্রহ এবং সরকারের নির্দেশে তদন্ত পরিচালনা করা।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশের বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো বা এনজিওদের অভিযোগ হচ্ছে যে, র‍্যাব ও বাংলাদেশের অন্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, ২০০৯ সাল থেকে ৬০০ ব্যক্তির গুম হয়ে যাওয়া এবং ২০১৮ সাল থেকে বিচার বহির্ভূত হত্যা ও নির্যাতনের জন্য দায়ী। কোনো কোনো প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, এই সব ঘটনার শিকার হচ্ছে বিরোধী দলের সদস্য, সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মীরা।

XS
SM
MD
LG