অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

বাংলাদেশের বহির্গমন টার্মিনালে ই-গেট, ১৮ সেকেন্ডে শেষ হচ্ছে ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া


হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরের বহির্গমন টার্মিনালে ই-গেট দিয়ে পার হচ্ছেন যাত্রীরা
হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরের বহির্গমন টার্মিনালে ই-গেট দিয়ে পার হচ্ছেন যাত্রীরা

বাংলাদেশের বিমানবন্দরসহ বিভিন্ন বহির্গমন টার্মিনালে স্থাপন করা হয়েছে ই-গেট। যাদের ই-পাসপোর্ট আছ, তারা ১৮ সেকেন্ডের মধ্যে ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করতে পারছেন। এ পদ্ধতির বাইরে, সময় লাগে ৩০ মিনিট কিংবা এরও বেশি।

পদ্ধতিটা হচ্ছে, ই-গেটের প্রবেশ করলে প্রথমে পাসপোর্ট-এর ছবি সম্বলিত স্মার্ট কার্ডের পৃষ্ঠাটি স্ক্যান করাতে হয়। ৪ থেকে ৫ সেকেন্ডের মধ্যে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের মাধ্যমে সব তথ্য মিলে যায়। এর পর, সামনে থাকা ক্যামেরার সামনে দাঁড়ালে, স্বয়ংক্রিয়ভাবে ফেসিয়াল রিকগনিশন শেষ হয়।মাত্র ১৮ সেকেন্ডের মধ্যে ইমিগ্রেশন সম্পন্ন হয়।

হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরের বহির্গমন টার্মিনালে স্থাপিত ই-গেটের সামনে বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) সকালে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে বক্তব্য দেন ই-পাসপোর্টের প্রকল্প পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ সাদাত হোসেন, ইমিগ্রেশন প্রশাসনের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাহরিয়ার আলম।

মোহাম্মদ সাদাত হোসেন বলেন, “ই-গেট মূলত ব্যক্তি ও তার পাসপোর্ট সঠিক কিনা, তা যাচাই করে থাকে। এর মাধ্যমে অল্প সময়ের মধ্যে নির্ভুলভাবে যাচাই-বাছাই করা সম্ভব। ই-গেট সিস্টেম ব্যবহারকারী যাত্রীদের সহায়তা করতে, আমাদের লোক রয়েছে। কোন যাত্রী না বুঝলে তাকে সহায়তা করা হয়।”

“ঢাকার হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরের বহির্গমন গেটে ১২টি এবং আগমনী গেটে ১২টি, মোট ২৪টি ই-গেট স্থাপন করা হয়েছে। যে সকল যাত্রীর ই-পাসপোর্ট রয়েছে, কেবল তারাই ই-গেট ব্যবহার করছেন;” জানান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ সাদাত হোসেন।

তিনি জানান, “হযরত শাহজালাল বিমানবন্দর ছাড়া, চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে ছয়টি, বেনাপোল ও বাংলাবান্দা স্থল বন্দরে একটি করে ই-গেট স্থাপন করা হয়েছে। চলতি বছর ২২টি ল্যান্ড চেকপোস্টেও ই-গেট স্থাপন করা হবে।”

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন মো. কামরুল ইসলাম বলেন, “উপমহাদেশের মধ্যে বাংলাদেশেই ই-পাসপোর্ট প্রচলিত হয়েছে। এ জন্য বিমানবন্দরে ই-গেট স্থাপন করা হয়েছে। তবে, যাত্রীদের অনেকে এখনও ই-গেট ব্যবহারে অভ্যস্ত নয়। হয়তো কিছুটা সময় লাগবে। যাদের ই-পাসপোর্ট রয়েছে, তারা ই-গেট ব্যবহার করে দ্রুত ইমিগ্রেশন শেষ করতে খুবই আগ্রহী।”

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ই-পাসপোর্টের অতিরিক্ত প্রকল্প পরিচালক কর্নেল মো.খালিদ সায়ফুল্লাহ, উপ-প্রকল্প পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ শরীফুল ইসলাম ও পাসপোর্ট অধিদপ্তেরর উপপরিচালক আবু নোমান মোহাম্মদ জাকির হোসেন।

XS
SM
MD
LG