অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

সহযোগিতার জন্য আসন্ন বছরগুলো প্রতিশ্রুতিশীল: নেদারল্যান্ডসের রাষ্ট্রদূত অ্যান ভ্যান লিউয়েন


‘বাংলাদেশ-নেদারল্যান্ডস সম্পর্ক: ভবিষ্যতের পূর্বাভাস’ সংলাপে অংশগ্রহণকারীরা

সাহায্য থেকে বাণিজ্যে স্থানান্তরের কথা মাথায় রেখে বেসরকারি খাতের বৃহত্তর সম্পৃক্ততায় বাংলাদেশের সঙ্গে সহযোগিতার ক্ষেত্রে আসন্ন বছর ও দশকগুলো ‘খুবই প্রতিশ্রুতিশীল’ বলে অভিহিত করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত নেদারল্যান্ডসের রাষ্ট্রদূত অ্যান ভ্যান লিউয়েন।

‘বাংলাদেশ-নেদারল্যান্ডস সম্পর্ক: ভবিষ্যতের পূর্বাভাস’ শীর্ষক এক সংলাপে মূল বক্তব্যে, রাষ্ট্রদূত অ্যান ভ্যান লিউয়েন বাংলাদেশের সামর্থ্য, দুর্বলতা ও সুযোগ চিহ্নিত করেন এবং জয়-জয় সম্পর্কের ভিত্তিতে, উজ্জ্বল ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যাওয়ার জন্য, সেগুলো মোকাবিলার ওপর জোর দেন।

রাষ্ট্রদূত লিউয়েন বলেন, “তাই আমরা আসন্ন বছর, এমনকি কয়েক দশককে দেখছি বেসরকারি খাতের বৃহত্তর সম্পৃক্ততার সঙ্গে কৃষি-খাদ্য ও পানি ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতার জন্য অত্যন্ত প্রতিশ্রুতিশীল।”

কসমস ফাউন্ডেশন-এর আয়োজনে চলমান অ্যাম্বাসেডর লেকচার সিরিজের অংশ হিসেবে এ সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়। কসমস ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক নাহার খান এতে সূচনা বক্তব্য দেন। কূটনীতিক ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা ড. ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী এ সেশনে সভাপতিত্ব করেন।

আলোচক প্যানেলে ছিলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. আমেনা মহসিন ও ড. লাইলুফার ইয়াসমিন এবং কসমস ফাউন্ডেশনের সম্মানিত উপদেষ্টা, ইমেরিটাস রাষ্ট্রদূত তারিক এ করিম।

নেদারল্যান্ডসের রাষ্ট্রদূত বলেন, “ইন্দো প্যাসিফিক অঞ্চলে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতা খুঁজে পাওয়া গুরুত্বপূর্ণ। সমমনা গণতন্ত্র ও খোলা বাজার অর্থনীতির দেশগুলোই প্রাকৃতিক মিত্র। বাংলাদেশ সেই ক্যাটাগরিতে উপযুক্ত এবং আমি মনে করি বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের মিল রয়েছে।”

বাংলাদেশের সামর্থ্যের কথা তুলে ধরে রাষ্ট্রদূত বলেন, “বাংলাদেশ ইন্দো প্যাসিফিক অঞ্চলে সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির একটি এবং এর তুলনামূলক রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, বিশাল জনশক্তি ও জনসংখ্যাগত লভ্যাংশ রয়েছে। এখানে শক্তিশালী অবকাঠামো এবং মধ্যবিত্ত প্রসারিত হওয়ার কারণে, খুব শক্তিশালী ও ক্রমবর্ধমান ভোক্তা বাজার রয়েছে।”

নেদারল্যান্ডসের রাষ্ট্রদূত অর্থনীতির বহুমুখীকরণের অভাবকে দুর্বলতা হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, “আমি বলতে চাচ্ছি, রপ্তানির ৮০ বা ৯০ শতাংশ এখনও আরএমজিতে (তৈরি পোশাক) রয়েছে। তাই এটা একেবারেই দুর্বলতা।”

XS
SM
MD
LG