অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

পারিবারিক কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বি মিয়া


বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়ার নামাজে জানাজা।
বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়ার নামাজে জানাজা।

গাইবান্ধায় পারিবারিক কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন, বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়া।সোমবার (২৫ জুলাই) সন্ধ্যা ৬টায় জেলার সাঘাটা উপজেলার গাটিয়া গ্রামে তৃতীয় নামাজে জানাজা শেষে তাকে দাফন করা হয়।

ঢাকা বিমানবন্দর থেকে দুপুর ২টার দিকে সশস্ত্র বাহিনীর একটি হেলিকপ্টারে করে তার মরদেহ নেয়া হয় গাইবান্ধার বোনারপাড়া কাজী আজহার আলী উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে।

এর আগে, নিউইয়র্ক থেকে ফজলে রাব্বির মরদেহ নিয়ে এমিরেটস এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট সোমবার সকাল ৮টা ৪০ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায়।

সকাল সাড়ে ১০টার দিকে জাতীয় ঈদগাহ প্রাঙ্গণে তার প্রথম নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।

ফজলে রাব্বী মিয়ার মরদেহ, সাঘাটা উপজেলার ভরতখালী উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে মানুষের শেষ শ্রদ্ধা জানানোর জন্য রাখা হয়। যেখানে তার দ্বিতীয় নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয় এবং পুলিশ ও স্থানীয় সরকার তাকে গার্ড অব অনার দেয়। এরপর তার মরদেহ গোটিয়া গ্রামে তার পৈতৃক বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়।

ডেপুটি স্পিকারকে তার গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে তার দুই ছেলের কবরের পাশে দাফন করা হয়।

অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বি ২২ জুলাই নিউইয়র্কের মাউন্ট সিনাই হাসপাতালে বিকাল ৩.৫৫ মিনিটে (নিউইয়র্ক সময়) শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স ছিল ৭৬ বছর। তিনি ১৯৭১ সালে, বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় ১১ নম্বর সেক্টরে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেন।

গাইবান্ধা-৫ আসনের সাত মেয়াদে সংসদ সদস্য ছিলেন ফজলে রাব্বি মিয়া। তিন মেয়ে রেখে গেছেন তিনি। তার স্ত্রী আনোয়ারা রাব্বি ২০২০ সালের মে মাসে মারা যান।

অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বি মিয়া ১৯৪৬ সালের ১৬ এপ্রিল জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৭৯ থেকে ১৯৮৬ সাল পর্যন্ত গাইবান্ধা আইন কলেজের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক এবং ১৯৭৮-৭৯ সাল পর্যন্ত গাইবান্ধা বারের নির্বাচিত সম্পাদক ছিলেন।

XS
SM
MD
LG