রপ্তানির সঙ্গে যুক্ত কারখানায় উৎপাদন স্বাভাবিক রাখতে, বিশেষ ব্যবস্থাপনায় নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য বাংলাদেশ সরকারের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন তৈরি-পোষাক শিল্প মালিকরা।
বাংলাদেশ গার্মেন্ট ম্যানুফ্যাকচারারস অ্যান্ড এক্সপোর্ট এসোসিয়েশন (বিজিএমইএ) সভাপতি ফারুক হাসান, বৈশ্বিকভাবে জ্বালানি ও বিদ্যুতের সংকট এবং বাংলাদেশে তৈরি পোশাক শিল্পে এর প্রভাব পড়ার কথা উল্লেখ করে, এই অনুরোধ জানান।
শনিবার (১০ সেপ্টেম্বর) বিজিএমইএ ভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ‘মেড ইন বাংলাদেশ উইক’ সম্পর্কে বক্তব্য রাখার সময় এ অনুরোধ জানান তিনি।
বাংলাদেশ অ্যাপারেল এক্সচেঞ্জ (বিএই) ও বিজিএমইএ-এর যৌথ উদ্যোগে , আগামী ১২-১৮ নভেম্বর ‘মেড ইন বাংলাদেশ উইক’ আয়োজন করা হবে। এতে বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের চিত্তাকর্ষক গল্পসমূহ ও উৎকর্ষ সাধনের ক্রমাগত প্রচেষ্টাকে তুলে ধরা হবে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৩ নভেম্বর ‘মেড ইন বাংলাদেশ উইক’ -এর উদ্বোধন করবেন।
বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, “এই শিল্প ২০২১ সালের আগস্ট থেকে ২০২২ সালের আগস্ট পর্যন্ত, এক বছর নিরবচ্ছিন্ন উৎপাদনের প্রত্যক্ষ সাক্ষী।”
তিনি বলেন, “আমরা উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি যে ধীরে ধীরে আমাদের কাজের আদেশগুলো বাতিল হয়ে যাচ্ছে।ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও যুক্তরাষ্ট্রসহ বাংলাদেশের রপ্তানির প্রধান বাজারগুলোতে সম্ভাব্য মন্দা ও মূল্যস্ফীতির কারণে আগামী বছরের কার্যাদেশ ২০-৩০ শতাংশ কমে এসেছে। অনেক খুচরা বিক্রেতা মূল্যস্ফীতির সঙ্গে লড়াই করছে এবং অনেক ব্রান্ডের পণ্যের বিক্রির হার কমে যাওয়ার ফলে, অবিক্রিত পণ্যের মজুদ বেড়েছে।”
ফারুক হাসান বলেন, “সবকিছু বিবেচনায়, সামনের মাসে আমাদের রপ্তানির ধারাবাহিকতায় নেতিবাচক লক্ষণ দেখা যেতে পারে।”
চলতি অর্থবছরে রপ্তানি মুনাফার ওপর ১ শতাংশ উৎস কর আরোপ করেছে সরকার। বিজিএমইএ সভাপতি সেই কর বিগত বছরের মতো (০.৫ শতাংশ) রাখার অনুরোধ জানান।