অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

রোহিঙ্গা সংকটের সমাধান মুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিকের জন্য সহায়ক হবে: রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি


কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরের শিক্ষা কেন্দ্রে আয়োজিত পাঠ্যপুস্তক হস্তান্তর অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি
কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরের শিক্ষা কেন্দ্রে আয়োজিত পাঠ্যপুস্তক হস্তান্তর অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি

রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনের জন্য প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবে বলে আশ্বাস দিয়েছে জাপান। বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি বলেন, “এই সংকটের স্থায়ী সমাধান খুঁজে বের করা আমাদের জন্য একটি মুক্ত ও উন্মুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিকের জন্য সহায়ক হবে।”

রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি বলেন, “কক্সবাজার ও ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের জন্য উন্নত জীবনযাপনের জন্য জাপান সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর সঙ্গে সহযোগিতা আরও বৃদ্ধি করবে।।

বর্তমানে কক্সবাজার ও ভাসানচর দ্বীপে ১১ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়েছে বাংলাদেশে। সোমবার (১২ সেপ্টেম্বর) কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরের শিক্ষা কেন্দ্রে আয়োজিত পাঠ্যপুস্তক হস্তান্তর অনুষ্ঠানে যোগ দেন রাষ্ট্রদূত নওকি।

অনুষ্ঠানে, শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরআরসি) শাহ রেজওয়ান হায়াতের উপস্থিতিতে, ইউনিসেফ বাংলাদেশের প্রতিনিধি শেলডন ইয়েটের কাছে, জাইকা বাংলাদেশের সিনিয়র প্রতিনিধি কমোরি তাকাশি মিয়ানমারের ভাষার ব্যাকরণ, গণিত, ইতিহাস, সাধারণ বিজ্ঞান এবং অন্যান্য বিষয়ের মোট ৮১ হাজার পাঠ্যপুস্তক হস্তান্তর করেন।

মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বর) ঢাকায় জাপান দূতাবাস জানিয়েছে, “জাপানের অর্থায়নে শেখার এই উপকরণ মিয়ানমারের কারিকুলাম পাইলট প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য ব্যবহার করা হবে, যা ২০২০ সালের জানুয়ারিতে অনুমোদিত হয়।”

কোভিড-১৯ প্রাদুর্ভাবের কারণে দেড় বছরেরও বেশি সময় পর শিক্ষা কেন্দ্রগুলো পুনরায় চালু হওয়ায় রাষ্ট্রদূত নাওকি সন্তোষ প্রকাশ করেন।

রাষ্ট্রদূত বলেন, “আমরা আশা করি এই সহায়তা রোহিঙ্গা শিশুদের শেখার ক্ষেত্রে অবদান রাখবে। আমি বিশ্বাস করি মিয়ানমারের ভাষা, ইতিহাস এবং সংস্কৃতি শেখা তাদের জন্য বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ; যাতে তারা তাদের নিজ দেশে প্রত্যাবাসন করার পর সমাজের সাথে পুনরায় একীভূত হতে পারে।”

XS
SM
MD
LG