অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

মিয়ানমার সীমান্তে উত্তেজনা: তিনশ’ পরিবারকে সরিয়ে নিচ্ছে বাংলাদেশ


বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে, বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সীমান্তবর্তী ঘুমধুম ইউনিয়নের তিনশ’ পরিবারকে সরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা করছে স্থানীয় প্রশাসন। গত এক মাস ধরে তুমব্রু সীমান্তের কাছে ক্রমাগত গুলিবর্ষণ ও মর্টার শেল নিক্ষেপের পর প্রশাসনের পক্ষ থেকে এই সিদ্ধান্ত আসলো।

নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সালমা ফেরদৌস বলেন, “বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের ৩০০ থেকে ৫০০ গজের মধ্যে, অন্তত ৭০টি বাংলাদেশি পরিবার বসবাস করছে। সীমান্তের সার্বিক পরিস্থিতি এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে আমরা তাদের সরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা করছি।”

ঘুমধুম সীমান্তে বসবাসকারী তিনশ’ পরিবারকে পর্যায়ক্রমে সরিয়ে নেওয়া হবে বলে জানান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সালমা ফেরদৌস।

ঘুমধুম বাসিন্দা কফিল উদ্দিন জানান, “যে কোনো মুহূর্তে গুলিবর্ষণ শুরু হতে পারে, এমন আশঙ্কায় অনেকে নিজ উদ্যোগে সীমান্ত এলাকা ছেড়ে চলে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে ৩৫টি পরিবার কক্সবাজারের উখিয়ার বালুখালী, রাজাপালং, সোনারপাড়া, পালংখালী, টেকনাফ উপজেলার হোইকং এলাকায় তাদের আত্মীয়ের বাড়িতে চলে গেছে।”

ঘুমধুম সীমান্তের জিরো পয়েন্টে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা নেতা দিল মোহাম্মদ বলেন, “ঘুমধুম সীমান্তে চার হাজার ২০০ রোহিঙ্গা আশ্রয় নিয়েছে। ২০১৭ সাল থেকে এই পয়েন্টে আশ্রয় নেওয়ার পর থেকেই তারা নানা আতঙ্কে আছে। মিয়ানমার বারবার রোহিঙ্গাদের জিরো পয়েন্ট থেকে উচ্ছেদের চেষ্টা করেছে।”

তিনি বলেন, “রোহিঙ্গারা এখন খুবই আতঙ্কিত। কিন্তু তারা এখনও জিরো পয়েন্টে অবস্থান করছে। কি করতে হবে তারা তা জানে না।”

অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার শামসুদ দৌজা জানান, “সীমান্তের জিরো পয়েন্টে জনগণ বা গোষ্ঠীর জন্য কমিশনারের কিছু করার সুযোগ নেই। অনেকেই স্থানীয়ভাবে সহযোগিতা করছেন এবং সীমান্তে কাজ করা আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো জরুরি সেবা প্রদানে নিয়োজিত রয়েছে।”

তিনি আরও বলেন, “রোহিঙ্গারা জিরো পয়েন্টের বাইরে বা উখিয়ার বিভিন্ন ক্যাম্পে আশ্রয় নিলে, তাদের বিভিন্নভাবে সাহায্য করা সম্ভব।”

ইউএনও সালমা বলেন, “সীমান্তে উত্তেজনা থাকায় এসএসসি পরীক্ষার কেন্দ্র, উখিয়া উপজেলার ঘুমধুম উচ্চ বিদ্যালয় থেকে কুতুপালং উচ্চ বিদ্যালয়ে স্থানান্তর করা হয়েছে। ঘুমধুম উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র থেকে, শনিবার ৪৯৯ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেয়।”

XS
SM
MD
LG