ময়মনসিংহের গৌরীপুরে উপজেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক মাসুদুর রহমান শুভ্রকে হত্যার দায়ে এক ইউনিয়নের চেয়ারম্যানসহ সাত জনকে মৃত্যুদণ্ড ও তিন জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত সোমবার (১০ অক্টোবর), ২০২০ সালের এই খুনের মামলার রায় ঘোষণা করেন ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক মনির কামাল।
মামলায় অভিযুক্ত, গৌরীপুর পৌরসভার বর্তমান মেয়র সৈয়দ রফিকুল ইসলাম ও তার দুই ভাইসহ নয় জনকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সাতজন হলেন; মইলাকান্দা ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান রিয়াদ উজ্জামান রিয়াদ, গৌরীপুর পৌর ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাকিব আহমেদ রেজা, উত্তর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য খাইরুল ইসলাম, মোজাম্মেল হক, ছাত্রদলকর্মী মাঈন উদ্দিন, শরীফুল ইসলাম, রুহুল আমিন। দণ্ডিতদের প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ডও দেওয়া হয়েছে।
যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত তিনজন হলেন; মাসুদ পারভেজ ওরফে কার্জন, শরীয়ত উল্লাহ ওরফে সুমন ও রাসেল মিয়া। তাদেরও প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে। অনাদায়ে আরও ৬ মাস কারাভোগ করতে হবে।
খালাসপ্রাপ্তরা হলেন; গৌরীপুর পৌরসভার মেয়রের দুই ভাই সৈয়দ তৌফিকুল ইসলাম, সৈয়দ মাজহারুল ইসলাম জুয়েল, শাহজাহান মিয়া, কামাল মিয়া, রিফাত, হানিফ ওরফে আবু হানিফা, জাহাঙ্গীর আলম ও মজিবুর রহমান। রায় ঘোষণার আগে ১৯ জনকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। এর আগে, গত ৬ অক্টোবর রাষ্ট্রপক্ষ ও অভিযুক্ত পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হয়।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ১৭ অক্টোবর গৌরীপুর মধ্যবাজার পান মহালে, রাত ১০টার দিকে দুর্বৃত্তরা শুভ্রকে কুপিয়ে হত্যা করে। এর পর, নিহত ব্যক্তির ছোট ভাই আবিদুর রহমান বাদী হয়ে গৌরীপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করে।
জেলা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক শাহ কামাল আকন্দ ১৯ জনকে অভিযুক্ত করে ২০২১ সালের ২৭ এপ্রিল অভিযোগপত্র দাখিল করে। গত ২৬ জানুয়ারি অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরু করেন আদালত। বিচার চলাকালে আদালত ৩০ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৭ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন। অভিযুক্তদের পক্ষে নয় জন সাফাই সাক্ষ্য দেন।