বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র ফারদিন নূর পরশের মৃত্যুর ঘটনায় তাঁর বান্ধবী আমাতুল্লাহ বুশরাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১০ নভেম্বর) ঢাকার বনশ্রীর বাড়ি থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
রামপুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘সকালে (বৃহস্পতিবার) পুলিশ বুশরার বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করে’।
তিনি আরও বলেন, ‘আজ ভোরে ফারদিনের বাবা কাজী নুর উদ্দিন রানা রামপুরা থানায় ছেলের মৃত্যুর ঘটনায় বুশরাসহ অজ্ঞাত কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন’।
বুশরা ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।
নিখোঁজ হওয়ার তিন দিন পর ৭ নভেম্বর সিদ্ধিরগঞ্জে একটি কটন মিলের পেছনে শীতলক্ষ্যা নদী থেকে ফারদিনের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
৪ নভেম্বর বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফেরেননি ফারদিন। ফোনেও তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছিল না।
পরে এ ব্যাপারে ফারদিনের বাবা রামপুরা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।
ফারদিন বুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র এবং নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার কুতুবপুর এলাকার বাসিন্দা।
মঙ্গলবার ময়নাতদন্ত করা নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক শেখ ফরহাদ জানান, ‘ফারদিনের মাথায় ও শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে’।
নারায়ণগঞ্জ নৌপুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান মনি জানান, ‘ফারদিনের দুই বন্ধুকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ’।
মঙ্গলবার ফারদিনের বাবা বলেন, ‘তাঁর ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে’। তিনি বিচার দাবি করেছেন।
মঙ্গলবার বুয়েট কেন্দ্রীয় মসজিদে ফারদিনের নামাজে জানাযা শেষে তিনি বলেন, ‘আমি আমার ছেলেকে ফিরে পাব না, কিন্তু আমি বিচার চাই। তার মোবাইল ফোনের লোকেশন ট্র্যাক করে অপরাধী ও খুনিদের শনাক্ত করা কঠিন কিছু নয়’।