অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

যুবদল সভাপতি সালাউদ্দিন টুকু-সহ সাতজনের ৪ দিন করে রিমান্ড অনুমোদন


জাতীয়তাবাদী যুবদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু ও সহ-সভাপতি নুরুল ইসলাম নয়ন। (ফাইল ছবি)
জাতীয়তাবাদী যুবদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু ও সহ-সভাপতি নুরুল ইসলাম নয়ন। (ফাইল ছবি)

বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার পল্টন থানার নাশকতায় মামলায় অভিযুক্ত, জাতীয়তাবাদী যুবদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু ও সহ-সভাপতি নুরুল ইসলাম নয়নসহ সাতজনের চারদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। রবিবার (৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শফি উদ্দিনের আদালত শুনানি শেষে রিমান্ড অনুমোদন করেন। রিমান্ড আদেশ দেওয়া অন্য অভিযুক্ত ব্যক্তিরা হলেন; মোকলেছ মিয়া, মোশারফ হোসেন খোকন, জজ মিয়া, ফরিদ উদ্দিন রানা ও মো. আব্দুল্লাহ।

এর আগে, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পল্টন থানার উপপরিদর্শক (এসআই) বিজন কুমার বিশ্বাস অভিযুক্ত ব্যক্তিদের আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন।অভিযুক্তদের আইনজীবী বোরহান উদ্দিন, রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। রাজশাহীর গণসমাবেশ শেষে ফেরার পথে, ৩ ডিসেম্বর রাত ১১টার দিকে রাজধানীর আমিনবাজার থেকে সুলতান সালাউদ্দিন টুকু ও নুরুল ইসলাম নয়নকে আটক করা হয় বলে জানা গেছে।

অভিযুক্তদের আইনজীবী আদালতে বলেন, “১০ ডিসেম্বর ঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশ।সমাবেশে ভীত হয়ে সরকার ঢালাওভাবে বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দিচ্ছে। আর পুলিশ গ্রেপ্তার করছে। সমাবেশকে সামনে রেখে তথ্যবিহীন মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে। রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের প্রার্থনা করছি।”

রাষ্ট্রপক্ষে, ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর আবব্দুল্লাহ আবু রিমান্ড মঞ্জুরের প্রার্থনা করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত প্রত্যেকের চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। আটক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, চলতি বছরের ২৬ মে রাজধানীর পল্টন থানাধীন এলাকায় অভিযুক্তরা মশাল মিছিল বের করে দাঙ্গা হাঙ্গামা করে।সরকারবিরোধী বিভিন্ন উসকানিমূলক বক্তব্য ও গাড়ি ভাঙচুরসহ পুলিশকে আক্রমণ করে।

এ ঘটনায়, পল্টন থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. কামরুল হাসান মামলা করেন। এই মামলায় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীসহ ৩০ জনকে অভিযুক্ত করা হয়। এ ছাড়া, অজ্ঞাত ব্যক্তিদের অভিযুক্ত করা হয়।

XS
SM
MD
LG