অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ পেতে গ্যাস-বিদ্যুতের উৎপাদন খরচ পরিশোধ করুন: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা


 ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড ফেয়ার (ডিআইটিএফ) উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড ফেয়ার (ডিআইটিএফ) উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রবিবার (১ জানুয়ারি), নিরবচ্ছিন্ন জ্বালানি সরবরাহ পেতে চাইলে অন্তত বিদ্যুৎ ও গ্যাস উৎপাদন ও সংগ্রহের খরচ দিতে ব্যবসায়ী ও শিল্পপতিদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন। শেখ হাসিনা বলেন, “আপনি যদি নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ও গ্যাস চান, তাহলে আপনাকে অন্তত উৎপাদন খরচ বা সংগ্রহের খরচ দিতে হবে। আমরা কতদিন ভর্তুকি দেব।”

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড ফেয়ার (ডিআইটিএফ) উদ্বোধনকালে ব্যবসায়ী ও শিল্পপতিদের প্রতি এ আহবান জানান। শেখ হাসিনা বলেন, “সরকার দীর্ঘসময়ের জন্য বিদ্যুৎ ও গ্যাসে বিশাল ভর্তুকি দিতে পারে না। আমরা এত বিপুল পরিমাণ সরকারি অর্থ ভর্তুকি হিসেবে দিতে পারি না, তাই ব্যবসায়ী ও শিল্পপতিদের এ বিষয়ে মনোযোগ দিতে হবে।”

অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী পাট ও পাটজাত পণ্যকে ২০২৩ সালের পণ্য হিসেবে ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, “এক সময় পাটকে দেশের সোনালি আঁশ বলা হতো। পাটের চাহিদা কখনই শেষ হবে না এবং পাটজাত পণ্য পরিবেশবান্ধব। আমরা পাটের জিনোম উদ্ভাবন করতে পেরেছি, তাই আমরা অনেক পণ্য তৈরি করতে পারি।”

শেখ হাসিনা আরও উল্লেখ করেন যে পাট এমন একটি ফসল যার পাতা থেকে কাঠি পর্যন্ত প্রতিটি অংশ ব্যবহার করা যায়। তিনি বলেন, “তাই পাটের প্রতি আমাদের গুরুত্ব দিতে হবে। আমরা আমাদের পাবলিক জুট মিল খুলে দিয়েছি এবং যে কেউ এই মিলগুলোর একটি ইজারা নিতে পারে। ইজারাদার সরাসরি মিল পরিচালনা করতে পারে বা বৈচিত্র্যময় আইটেম উৎপাদন করতে আধুনিক প্রযুক্তি অন্তর্ভুক্ত করতে পারে।”

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, “পরিবেশ-বান্ধব পণ্যের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে, তাই বিশ্বজুড়ে আপনারা বিপণন করতে পারেন। আপনাদের সেই সুযোগটি নিতে হবে।”

প্রধানমন্ত্রী জানান যে তার সরকার সারাদেশে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চলের জন্য ফাইভ-জি চালু করবে। বলেন, “আমরা ফোর-জি পরিষেবা অন্তর্ভুক্ত করেছি এবং অবশ্যই ফাইভ-জি পরিষেবা চালু করব। তবে এটি ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চলের জন্য করা হবে, কারণ এই পরিষেবাটি (ফাইভ-জি) সব এলাকার জন্য প্রয়োজনীয় নয়। এটি অর্থনৈতিক অঞ্চল গুলোর জন্য প্রযোজ্য।সরকার সে লক্ষ্যে পদক্ষেপ নিচ্ছে।”

দেশের রপ্তানি বাস্কেট-কে বৈচিত্র্যময় করতে, প্রধানমন্ত্রী আবারও নতুন বাজার ও পণ্য খোঁজার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।তিনি বলেন, “আমাদের রপ্তানি আইটেম সীমিত, আমরা খুব কম রপ্তানি আইটেমের ওপর নির্ভরশীল। এটিকে বহুমুখী করতে হবে। আমি বারবার বলছি যে আমরা যত বেশি পণ্য বৈচিত্র্য আনতে সক্ষম হব, তত বেশি আমরা নতুন বাজার খুঁজে পাব, তত বেশি আমরা আমাদের ব্যবসা এবং আয় বাড়াতে সক্ষম হব।”

XS
SM
MD
LG