বাংলাদেশের শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, “নতুন শিক্ষাক্রমে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ে এ বছর যে বইগুলো পাঠানো হয়েছে, সেগুলো পরীক্ষামূলক। তাই পাঠ্যবইয়ে ভুল থাকলে সংশোধন করা হবে।” শনিবার (১৪ জানুয়ারি) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) স্বোপার্জিত স্বাধীনতা চত্বরে, ছাত্রলীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা জানান।
দীপু মনি বলেন, “আমরা ৩৩ হাজার মাধ্যমিক প্রতিষ্ঠানে পরীক্ষামূলকভাবে বইগুলো দিয়েছি। প্রতিনিয়ত আমরা শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের কাছ থেকে ফিডব্যাক নেবো। সারা বছর আমরা বই পরিমার্জন ও পরিশীলন করব।” তিনি বলেন, “ষষ্ঠ-সপ্তম ও প্রথম শ্রেণির জন্য যে বই গেছে, সে বইগুলোতে কিছু ভুল থাকতে পারে। কোনো কোনো বিষয় নিয়ে কারও অস্বস্তি থাকতে পারে। আমাদেরকে জানাবেন, আমরা আগামী বছরের জন্য সেগুলো সংশোধন করব এবং বাকি ক্লাসের বইগুলো আমরা সেই আলোকে তৈরি করব।”
নতুন শিক্ষাক্রম নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, “আমরা এখন একটি সময় উপযোগী শিক্ষাক্রম প্রণয়ন করেছি। কারণ, ২০৩০ সালে আমাদের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের একটি বিষয় রয়েছে। যেটি আমাদের আন্তর্জাতিক অঙ্গীকার। সেখানে ১৭টি লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। চার নম্বরে লক্ষ্য হল শিক্ষা এবং এটি সবকিছুর কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে। শিক্ষার লক্ষ্য পূরণ হলে, বাকিগুলো সহজে পূরণ হবে।”
শিক্ষাকে উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণের অন্যতম প্রধান হাতিয়ার বলে উল্লেখ করেন বাংলাদেশের শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।