অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

পহেলা ফাল্গুন, ভালোবাসা দিবস আর বইমেলা: উৎসব মুখর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর


উৎসব মুখর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর

পহেলা ফাল্গুন ও ভালোবাসা দিবস ও অমর একুশে বই মেলা। এক সঙ্গে তিন আয়োজন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরকে করে তোলে উৎসবমুখর। বইমেলার আনন্দকে দ্বিগুণ বাড়িয়ে তোলে।

পহেলা ফাল্গুন ও ভালোবাসা দিবস একাকার হয়ে যায় সবুজ ক্যাম্পাসে। সকাল থেকে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে, বর্ণিল পাঞ্জাবি ও শাড়ি পরে ক্যাম্পস ও মেলা প্রাঙ্গনে আসে হাজারো মানুষ। চারুকলা অনুষদের বকুল তলায় বসন্ত উৎসব উদযাপন কমিটির বিশাল আয়োজনের পাশাপাশি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহাসিক বটতলায় আয়োজিত হয় দিনব্যাপী সাংস্কৃতিক উৎসব। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মুক্তমঞ্চ ছিলো পহেলা ফাল্গুন উদযাপনের অন্যতম স্থান। এর ফলে, অমর একুশে বইমেলায় বাড়তি উৎসবের মেজাজ যোগ হয়।

কেবল বাংলার পহেলা ফাল্গুন নং, ১৪ ফেব্রুয়ারি ভ্যালেন্টাইন্স ডে বা সেন্ট ভ্যালেন্টাইন’স ডে উৎসব হিসেবে স্বীকৃত। এই বৈশ্বিক প্রবণতা অনুসরণ করে, অনেকেই ক্যাম্পাস এলাকায় আসেন ফুলে সজ্জিত হয়ে। মিরপুর-২ থেকে ভালোবাসা দিবস উদযাপন করতে এসেছেন শামীমা ও কামাল। শামীমা বলেন, “আমাদের বিয়ের পর এটাই আমাদের প্রথম ভ্যালেন্টাইন ডে। যদিও আমাদের বিয়ের আগে দুই বছরের সম্পর্ক ছিল। এই দিনটি আমাদের প্রিয়জনের কথা মনে করিয়ে দেয় এবং আমরা এই দিনটিকে উপভোগ করতে এখানে এসেছি।”

বইমেলায় এসেছেন শিক্ষার্থী ওসমান আহমেদ। তিনি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মুক্তমঞ্চে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেছেন।তিনি বলেন, “আমি রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থেকে বইমেলায় এসেছি। যখন আমি এই জায়গার পাশ দিয়ে যাচ্ছিলাম, তখন মুক্তমঞ্চের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আমাকে আকর্ষণ করে এবং আমি এটি উপভোগ করছি।”

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী মনিরুজ্জামান বলেন, “আমি সাধারণত উৎসবের দিনে টিএসসি এলাকা এড়িয়ে চলার চেষ্টা করি। এমন দিনে ঐ এলাকায় অবাধে চলাফেরা করা কঠিন হয়ে পড়ে। তবে বসন্ত উৎসব আমাকে আলোড়িত করে।”

XS
SM
MD
LG