বাংলাদেশের আইনমন্ত্রী আনিসুল হক জানিয়েছেন যে আবেদন পাওয়ার পর বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। রবিবার (৫ মার্চ) রাজধানী ঢাকায়, বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে আইন ও বিচার বিভাগ উদ্ভাবিত অনলাইন কেস ট্র্যাকিং সিস্টেম ‘সলট্র্যাক’ (http://soltrack.gov.bd) উদ্বোধন করেন তিনি। অনুষ্ঠান শেষে, সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে একথা জানান আনিসুল হক।
দণ্ড স্থগিত রেখে খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ শেষ হচ্ছে, নতুন করে মুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর কোন আবেদন করা হয়েছে কি না; এমন প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, “এখনো কোনো আবেদন পাইনি। আবেদন পাওয়ার পর সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”
কেস ট্র্যাকিং সিস্টেমের বিষয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, “আইন ও বিচার বিভাগের সলিসিটর অনুবিভাগ সকল সরকারি প্রতিষ্ঠানের পক্ষে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগে তাদের মামলা পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনা করে থাকে। অনেক ক্ষেত্রে সরকারি অফিসসমূহ তাদের মামলার বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে অবগত থাকে না। এই কেস ট্র্যাকিং সিস্টেমের মাধ্যমে তারা সহজেই মামলার হালনাগাদ তথ্য জানতে পারবে।”
আনিসুল হক বলেন, “৯১ হাজারের বেশি সরকারি মামলা উচ্চ আদালতে ঝুলে আছে। এসব মামলার ট্র্যাকিং ও সুষ্ঠু পরিসমাপ্তির জন্য এ সফটওয়্যার অত্যন্ত সহায়ক হবে। এর মাধ্যমে উচ্চ আদালতে বিচারাধীন মামলায় সরকারি স্বার্থ অক্ষুন্ন রাখা সম্ভব হবে। আইন ও বিচার বিভাগ-এর সলিসিটর অনুবিভাগের সঙ্গে সরকারের অন্য দপ্তরের সংযোগের মাধ্যমে একটি আস্থার সম্পর্ক স্থাপিত হবে।”
তিনি বলেন, “প্রত্যেকটি কম্পোনেন্ট একটি অপরটির সঙ্গে সম্পর্কিত। প্রযুক্তিনির্ভর নির্মল ও স্বচ্ছ তথা নাগরিক হয়রানিবিহীন একটি রাষ্ট্র বিনির্মাণ এবং ভোগান্তি ছাড়া নাগরিক অধিকার নিশ্চিত করার মাধ্যমেই একটি স্মার্ট রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব। সকল সেক্টরে প্রযুক্তি নির্ভর সেবা প্রদানের পদক্ষেপ হিসেবে স্মার্ট জুডিসিয়ারি প্রতিষ্ঠাও সরকারের একটি অগ্রগণ্য কাজ।”