বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার দণ্ড স্থগিত করে মুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে আইন মন্ত্রণালয় এসেছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ সরকারের আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক।
তিনি জানান, খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন আইন মন্ত্রণালয়ে আসলেও এখনো তাঁর কাছে উপস্থাপিত হয়নি।
বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) সচিবালয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত ৬ দেশের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান।
এদিকে ষষ্ঠবারের মতো কারাবন্দি খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর শেষ হবে।
আনিসুল হক বলেন, “খালেদা জিয়ার শর্তযুক্ত মুক্তির মেয়াদ যেটা ছয় মাস ছিল, সেটা বাড়ানো হয়েছি কি না? আবার বলা হচ্ছে তাঁকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানো হবে। এ বিষয়ে আমি বলতে চাই। আমি জানতে পেরেছি, শর্তযুক্ত মুক্তির মেয়াদ আরও বাড়ানোর জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বেগম খালেদা জিয়ার একটি আবেদন ফাইল করেছেন। এ ফাইলটি আইন মন্ত্রণালয়ে এসেছে। আমার কাছে এখনো আসেনি”।
তিনি আরও বলেন, “আমাদের মতামত দেওয়ার পর এটাকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। যে তথ্য (মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে ও বিদেশে পাঠানোর সিদ্ধান্ত) টেলিভিশনে দেওয়া হচ্ছে তা সর্বৈব অসত্য”।
খালেদা জিয়া বিদেশে চিকিৎসা নিতে পারবেন কি না জানতে চাইলে আনিসুল হক বলেন, “আমার কাছে এখনো আবেদনটি আসেনি। আসলে আমি নিষ্পত্তি করব। আমি যখন এটি নিষ্পত্তি করব, আমি আপনাদের (সাংবাদিক) অবশ্যই জানাব। আমার কাছে এখনো ফাইল আসেনি, তাই বলতে পারব না ফাইলের মধ্যে কী আছে”।